চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

চট্টগ্রামে মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম কম

ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে এসেছে মিয়ানমারের পেঁয়াজ। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চীন, মিসরসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ব্যাপারে খোঁজখবরও রাখছেন ব্যবসায়ীরা। খাতুনগঞ্জের আল হাকিম বাণিজ্যালয়ে গতকাল সোমবার ভারতের নাসিক জাতের পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি হয় ৪০ থেকে ৪১ টাকা। এর বিপরীতে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৭ টাকা।

খাতুনগঞ্জের পেঁয়াজের বড় বিপণিকেন্দ্র হামিদউল্লাহ মার্কেট। এ মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, ঈদুল আজহার পর থেকে ক্রমে যখন ভারতের পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তখন সুখবর হচ্ছে গত রোববার মিয়ানমারের পেঁয়াজ খাতুনগঞ্জের পাইকারি আড়তে ঢুকেছে। আকারে কিছুটা ছোট হলেও বাজারে মোটামুটি প্রভাব ফেলেছে। আমদানিকারকেরা যদি লাভবান হন, তবে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। ভারত ও মিয়ানমারের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছেন অনেক ব্যবসায়ী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাতুনগঞ্জে সারা বছর পেঁয়াজ আসে ভারত সীমান্তবর্তী হিলি, ভোমরাসহ বিভিন্ন স্থলবন্দর থেকে। ব্যাপারীরা ট্রাকে করে পেঁয়াজ এনে বিভিন্ন আড়তে ভাগ করে দেন। আড়তদার কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন পাইকারিতে। একজন খুচরা বিক্রেতা বা পাইকারি ক্রেতা আড়ত থেকে পেঁয়াজ কিনলে কেজিপ্রতি ৩০ পয়সা আড়তদারি দিতে হয়। এছাড়া আড়ত থেকে রিকশা, পিকআপ বা ট্রাকে পেঁয়াজের প্রতি বস্তা তোলা বাবদ কুলিকে দিতে হয় ১৫ টাকা। আড়তদার কেজিপ্রতি ৩০ পয়সা কমিশন পেয়ে থাকেন ব্যাপারীর কাছ থেকেও। তবে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে খাতুনগঞ্জের আমদানিকারকেরা চীন, মিসর, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন।

পাইকারিতে বা আড়তে ৪০ থেকে ৪১ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হলেও খুচরা দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। সরেজমিন মোমিন রোড, এসএস খালেদ রোড, আসকার দীঘিরপাড়, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন খুচরা দোকানে এমন চিত্র দেখা গেছে।

পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, খাতুনগঞ্জে দেশি পেঁয়াজ মৌসুমে কিছুটা দেখা গেলেও বছরের অন্যান্য সময় ভারতের পেঁয়াজই বেশি। মুড়িকাটা পেঁয়াজের মৌসুমের বাইরে হাতেগোনা দুই-একটি আড়তে দেশি পেঁয়াজ থাকলেও পরিমাণে খুব কম। এ প্রসঙ্গে একজন আড়তদার বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ দেখতে সুন্দর, মানে ভালো এমন পেঁয়াজই কেনেন বেশি। যদিও নিম্নমানের হোটেল, রেস্তোরাঁ আর বস্তি এলাকায় কমদামি পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। খাতুনগঞ্জে কিছুটা কমেছে চীনা আদা ও রসুনের দাম। ঈদুল আজহার আগে যে রসুন বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকা, সেটি এখন পাইকারিতে ১২৫ থেকে ১২৬ টাকা। ১৬০ টাকার আদা এখন ১২০ টাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close