খুলনা ব্যুরো

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

খুলনার সিভিল সার্জন অফিসে দুদকের অভিযান

বিদেশ যাত্রীদের মেডিকেল সনদ প্রদান বাবদ অবৈধ অর্থ লেনদেনের অভিযোগে খুলনার সিভিল সার্জন অফিসে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অবৈধ অর্থ গ্রহণের সত্যতা মেলায় সংশ্লিষ্টদের ‘সতর্ক’ করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়া। সঙ্গে ছিলেন সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম, উপসহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন, উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পাল ও উপসহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ।

দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সূত্র জানান, বিদেশ যাত্রীদের মেডিকেল সনদ প্রদান বাবদ খুলনার সিভিল সার্জন অফিসে জনপ্রতি ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে মর্মে দুদক সদর দফতরে অভিযোগ ছিল। সে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সদর দফতরের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তবে তাৎক্ষণিক ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা করে নেওয়ার সত্যতা না পাওয়া গেলেও জিজ্ঞাসাবাদে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আতিয়ার রহমান শেখ জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। অভিযানের মুখে আর টাকা নেওয়া হবে না বলেও অঙ্গীকার করেন তিনি।

সহকারী পরিচালক মো. শাওন মিয়া অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আতিয়ার রহমান শেখ জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে ২০০ টাকা সিভিল সার্জন বা স্বাক্ষরদাতা এবং বাকি ৫০ টাকা অফিস স্টাফরা নেয় বলেও স্বীকার করেন তিনি। রোববার সিভিল সার্জন ছুটিতে থাকায় এ টাকা তিনি নিজেই গ্রহণ করেন। কিন্তু এ টাকা নেওয়ার জন্য রশিদ বা বৈধতা তিনি দেখাতে পারেননি তিনি।

দুদক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে তাকে ‘সতর্ক’ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে মেডিকেল সনদপ্রত্যাশীদের বিনামূল্যে সনদপ্রাপ্তির ব্যবস্থা করেন। এছাড়া মেডিকেল সনদ বাবদ কোনো অর্থ গ্রহণ করা হয় না, অথবা নিলেও কত টাকা, কিসের বিনিময়ে সেটি অফিসের সামনে লিখে রাখা এবং রশিদ ছাড়া কোনো অর্থ লেনদেন না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্য অফিসেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close