গাইবান্ধা সিভিল সার্জন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনায় প্রান্তিক বাসিন্দাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। যমুনা-ব্রহ্মপুত্র চরের মতো প্রান্তিক অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার গাইবান্ধায় আয়োজিত কর্মসূচিতে এ আহ্বান জানান তারা।

এ বছর স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমার স্বাস্থ্য, আমার অধিকার’। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন গাইবান্ধার স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা। বক্তারা জানান, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। সবার মাঝে এ অধিকার নিশ্চিতের মূল ভিত্তি হচ্ছে উন্নত প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা। যার অন্যতম দাবিদার প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষ। এজন্য দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন যমুনা-ব্রহ্মপুত্র চরের বাসিন্দাদের সুস্বাস্থ্যে বিশেষ নজর দেয়ার আহ্বান জানান তারা।

জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশেও প্রতি বছর ৭ এপ্রিল পালিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। তবে এ বছর আজ ৭ এপ্রিল রবিবার শবেকদর উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায়, এক দিন আগে ৬ এপ্রিল শনিবার গাইবান্ধায় পালন করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের কর্মসূচি।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় যোগ দেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ব্যক্তিরা। বক্তব্য দেন গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল সুপার ডা. মাহবুব হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. আবদুল্লাহ হাল মাফি, ডা. আল মেহদী, কনসালট্যান্ট বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এবং ডা. রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, গাইবান্ধা সদর উপজেলা। ফ্রেন্ডশিপের প্রকল্প সমন্বয়কারী রাবেয়া সুলতানা সেতু, সহকারী ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম, স্বপন বর্মণ, প্রজেক্ট অফিসার জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি সিভিল সার্জন অফিস প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে গাইবান্ধার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে আবার সিভিল কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

"