ক্রীড়া ডেস্ক
লিভারপুলের স্বস্তির জয়
কঠিন এক লড়াইয়ের পর চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে-অফের প্রথম লেগে হফেনহাইমের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে লিভারপুল। লিভারপুলের সুদিন নেই অনেক দিন। একসময় ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাবগুলোর একটি ছিল ইংলিশ ফুটবলে ‘অলরেড’ হিসেবে পরিচিত ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নস লিগেও সরাসরি খেলা হচ্ছে অনেক দিন ধরে। দলের দায়িত্ব নিয়ে ইয়ুর্গেন ক্লপ চেষ্টা করছেন দলের সুদিন ফেরানো। সেই লক্ষ্যে চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে তার শিষ্যরা। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে বাছাইপর্বে কাল হফেনহাইমের মাঠে ২-১ গোলের কষ্টের জয় পেয়েছে তারা। যদিও এ জয়ে আছে ভাগ্যের ছোঁয়া। দুবার ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে লিভারপুল। এ জয়ের ফলে কিছুটা এগিয়ে থেকে আগামী বুধবার ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে খেলতে নামবে লিভারপুল।
আগের ম্যাচের মতো পরশুর ম্যাচেও খেলেননি দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার কুতিনহো। সেই সঙ্গে তার বার্সেলোনা যাওয়ার গুঞ্জনও তীব্র হচ্ছে। অবশ্য চোটের কারণে কুতিনহোর এই অনুপস্থিতি বলে জানানো হয়েছে ক্লাবের কাছ থেকে। পেছনে অন্য কারণ থাকলেও থাকতে পারে। তবে কুতিনহো ছাড়া লিভারপুল যে কতটা অসহায়, কালকের ম্যাচের পর এ নিয়ে আর কারো সন্দেহ থাকার কথা নয়। কুতিনহোকে না ছাড়ার যুক্তি তাই আরো জোরালো হলো ক্লপের।
প্রতিপক্ষের মাঠে ৩৫ মিনিটে ইংলিশ ফুলব্যাক আলেকজান্ডার আরনল্ডের গোলে প্রথম লিড নেয় লিভারপুল। বিরতির পর হফেনহাইম ডিফেন্ডার নর্দভেইতের আত্মঘাতী গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা। শেষ বাঁশি বাজার তিন মিনিট আগে মার্ক উথ হফেনহাইমের হয়ে গোল করলেও হার এড়ানোর জন্য তা যথেষ্ট হয়নি। ১১ মিনিটেই স্বাগতিকেরা পেনাল্টি মিস না করলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হতে পারত। ইউরোপিয়ান আসরে এবারই প্রথম অভিষেকের সুযোগ পাওয়া হফেনহাইমের হয়ে পেনাল্টি মিস করেন আন্দ্রেস ক্রামারিচ। এরপর সেই আত্মঘাতী গোল। হফেনহাইম নিজেদের কপাল চাপড়াতেই পারে। ২০১৫-১৬ মৌসুমের শেষ দিনের পর নিজেদের মাঠে প্রথম হারল হফেনহাইম। ফিরতি লেগে কোনো অঘটনের শিকার না হলে ২০১৪ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বে ফিরবে লিভারপুল। প্রতিপক্ষের মাঠে দুটি গোল করে অনেকটাই এগিয়ে থাকবে লিভারপুল।
"