ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ০৯ মার্চ, ২০২৪

বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বিপিএলের ভূমিকা

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর শুরু হচ্ছে আগামী ২ জুন থেকে। হাতে সময় রয়েছে তিন মাসেরও কিছুটা বেশি সময়। কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রস্তুতি কেমন। অনেকের কাছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) খেলে ক্রিকেটাররা প্রস্তুতি নিলেও বিশ্বকাপের জন্য সেটা কতটা কার্যকরী সেই প্রশ্ন যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি জাতীয় দলের তারকাদের পারফরম্যান্স নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা। তাই তো প্রশ্ন উঠেছে বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে বিপিএলের ভূমিকা কতটা কার্যকরী হবে?

বিপিএলের ফাইনালে চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো শিরোপা উল্লাসে মাতে ফরচুর বরিশাল। দলটির এ শিরোপা জয়ের পেছনে সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভূমিকা ছিল বেশি। বিশেষ করে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো সিনিয়ররা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে কাটিয়েছেন শিরোপা খরা। পারফরম্যান্সেও এগিয়ে রয়েছেন ‘বুড়ো খেলোয়াড়ের’ খেতাব পাওয়া তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ ও তাইজুল ইসলাম।

সবকিছুর পেছনে বিশ্বসেরা আসরে ভালো করার একটা লক্ষ্য রয়েছে। বিশ্বকাপে ডানহাতি-বাঁহাতি সমন্বয় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়টি টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনার মধ্যে রয়েছে। বিপিএলে ধারাবাহিকতার সঙ্গে পারফর্ম করাটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি ছন্দে থাকার প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। বিপিএলের পর মার্চেই দেশের মাটিতে শক্তিশালী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলমান নাজমুল হোসেন শান্তর দলের। সে কারণেই টি-টোয়েন্টি এ সিরিজটি বাংলাদেশ দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজেই প্রমাণ হবে বিপিএলে যারা পারফর্ম করেছেন সেটা জাতীয় দলের জন্য কতটা সহায়ক হয়েছে।

দেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের উইকেটের আচরণের সঙ্গে জুনে বাংলাদেশের উইকেটের আচরণের মিল থাকার একটা প্রত্যাশার কথা শোনা গেছে। বিপিএলের উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে টেকনিক্যাল কমিটি উইকেট কেমন হওয়া উচিত এসব বিষয়ে বিস্তর আলোচনা করেছে। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পর কথা ও কাজে কতটুকু মিল পেয়েছেন খেলোয়াড় ও ফ্র্যাঞ্চাইজিরা? তিনটি স্টেডিয়ামে ম্যাচপ্রতি গড় রান গতবারের চেয়েও যেমন কম ঠিক, তেমনি খেলা শুরুর সময় ঢাকার উইকেট থেকে আবহাওয়ার কারণে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায়নি। ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সবাই চেয়েছিলেন জাতীয় টি-টোয়েন্টিতে দলে বিপিএল গঠনমূলক কার্যকর ভূমিকা রাখুক। জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই ভালো পারফর্ম করেছে। তবে নতুন খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স চরমভাবে হতাশ করেছে। বিপিএলের মতো টুর্নামেন্ট দিয়ে নতুন খেলোয়াড়ের আবির্ভাবের প্রত্যাশা থাকে। সেটা এবার হয়নি।

রিশাদ হোসেন ছাড়া কোনো লেগ স্পিনারই আলো ছড়াতে পারেনি। বিপিএলে লেগ স্পিনাররা যে সব সময় অবহেলিত সেটা আবারও প্রমাণ হয়েছে। জাতীয় দলের বাইরে থেকে দু-তিনজন পারফর্ম করেছেন সেখান থেকে জাকের আলী অনিক সুযোগ পেয়েছেন। তবে কাউকে অসাধারণ হিসেবে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। বিপিএল আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের চ্যালেঞ্জ নিতেই হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close