প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই মাইলস্টোন ছুঁলেন অ্যাশটন অ্যাগার। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৭ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। বল টেম্পারিং কা-ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবার মাঠে নামলেন স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার।

ওয়ান্ডারার্সে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেন অ্যাগার। সেইসঙ্গে ব্রেট লি’র সঙ্গে একই আসনে বসলেন বাঁ-হাতি অজি স্পিনার। ১৯৭ রান তাড়া করতে নেমে ১৪.৩ ওভারে মাত্র ৮৯ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া ইনিংসের অষ্টম ওভারে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন অ্যাগার। সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি, ফেহলুখাইয়ো ও ডেল স্টেইনকে ব্যাক টু ব্যাক ডেলিভারিতে ডাগ-আউটে ফেরান অ্যাগার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় অজি বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন অ্যাগার। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশের হয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন ব্রেট লি। এদিন কিংবদন্তি পেসারের রেকর্ড ছুঁঁলেন অ্যাগার। তার স্পিনের বিরুদ্ধে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে প্রোটিয়া ইনিংস। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করে প্রোটিয়া ইনিংসের ৫টি উইকেট তুলে নেন এই বাঁ-হাতি অজি স্পিনার।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪ উইকেটে ৪০ রানের সময় এদিন বল করতে আসেন অ্যাগার। অর্থাৎ প্রোটিয়া ইনিংসের বাকি ৬টি উইকেটের মধ্যে ৫টি তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা হন তিনি। এদিন প্রথম ব্যাটিং করে ওয়ান্ডারার্সে দাপট দেখান অজি ব্যাটসম্যানরা।

ডেভিড ওয়ার্নার ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভ স্মিথের চওড়া ব্যাট অস্ট্রেলিয়াকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেয়। দ্বিতীয় উইকেটে ৪৮ বলে ৮০ রান যোগ করে ফিঞ্চ-স্মিথ জুটি। ফিঞ্চ ২৭ বলে ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কাসহ ৪২ রান করেন। আর স্মিথ ৩২ বলে ৫টি বাউন্ডারি ও ১টি ওভার বাউন্ডারিসহ ৪৫ রান করেন। এছাড়াও অ্যালেক্স ক্যারি ২২ বলে ২৭ এবং অ্যাগার ৯ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে ১৯৬ রানে পৌঁছে দেন। এই রান তাড়া করতে নেমে ১৫ ওভারেই আত্মসমর্পণ করে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানরা।

"