ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

সিলেটের হ্যারিকেনেই তছনছ সিলেট

ক্যারিয়ারের সোনালি সময়ে উপাধিটা পেয়েছিলেন অলক কাপালি। বাংলাদেশ জাতীয় দলের একসময়ের বিগ হিটারকে ডাকা হতো ‘সিলেটের হ্যারিকেন’ নামে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই অলক যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। মাঝে মাঝে দুই-একটা ঝড়ো ইনিংস খেলে শিরোনামে আসলেও ফের দেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর মতো কিছুই করতে পারেননি। তাই ২০১১ সালে ওই যে ঝড়ে পড়লেন, আর জাতীয় দলে ফেরা হয়নি।

কিন্তু হাল ছাড়েননি অলক। বড় আসরে সুযোগ পেলেই নিজের শতভাগ নিংড়ে দিচ্ছেন। এবার তার ফলটাই পেলেন তিনি। ব্যাট হাতে নয়, বিশেষজ্ঞ লেগস্পিনারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে কাল নিজ জন্মশহর সিলেটকেই তছনছ করে দিলেন অলক। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে গতকাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অলকের ঝলকেই রাজশাহী রয়েলসের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করল সিলেট থান্ডার। ব্যাটিংয়ে ১০০-এর আগেই মুখ থুবড়ে পড়ল তারা। ছোট রান তাড়ায় ঝড়ো ব্যাটিংয়ে রাজশাহীকে পথ দেখালেন লিটন দাস। আসরে টানা দুই জয় পেলেন অলক কাপালি-আন্দ্রে রাসেলরা।

মিরপুর শেরেবাংলায় গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেটকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯১ রানেই গুটিয়ে যায় মোসাদ্দেক হোসেনের দল। মাত্র ১০.৫ ওভারে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় রাজশাহী। রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই নাঈম হাসানের বলে বোল্ড হয়ে যান প্রথম ম্যাচে ফিফটি তুলে নেওয়া হজরতউল্লাহ জাজাই। উইকেট মেডেন তুলে নিয়ে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন নাঈম। দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে নিয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সিলেটের লড়াইয়ের চেষ্টা গুঁড়িয়ে দেন লিটন। মাত্র ৭ ওভারে ৬২ রান আসে এই জুটিতে। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩০ রান করা আফিফ ফেরেন পেসার নাভিন-উল-হকের বলে। অভিজ্ঞ শোয়েব মালিককে নিয়ে বাকিটা পথ পাড়ি দেন লিটন। ২৬ বলে ৭টি চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে যান কিপার ব্যাটসম্যান।

অথচ ম্যাচের শুরুটা ছিল অন্যরকম। সিলেটের দুই ওপেনার ছিলেন দারুণ আগ্রাসী। প্রথম ওভারেই আন্দ্রে রাসেলকে ছক্কা ও চার মারেন জনসন চার্লস। পরের ওভারে তাইজুল ইসলামকে মাথার ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন রনি তালুকদার। ৩ ওভারে সিলেটের রান ছিল ২৯। চতুর্থ ওভারে এই জুটি ভাঙেন রাসেল। ১৭ বলে ১৯ রান করে সেøায়ারে বাজেভাবে এলবিডব্লিউ হন রনি। এরপরই অলক ঘূর্ণিতে পথ হারায় সিলেট। পরের ওভারে তাকে সøগ করতে গিয়ে বোল্ড হন চার্লস। ওভারের শেষ বলে আলগা শটে স্টাম্পে বল টেনে আনেন জীবন মেন্ডিস।

চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও ছন্দে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন। দুজন যোগ করেন ৩১ রান। আগের ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করা মিঠুন ফেরেন ১৮ বলে ২০ করে। মোসাদ্দেক বিদায় নেন ২১ বলে ২০ করে। দুটি উইকেটই নেন রবি বোপারা। তবে ১৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর সফলতম অলকই। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তাই সিলেটের ঘাতকের হাতেই উঠেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close