সাহিদ রহমান অরিন

  ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বিশ্রী ব্যাটিংয়ে যুবাদের স্বপ্নভঙ্গ

শুক্রবার রাতে মশা (জিম্বাবুয়ে) মারতে কামান লেগেছিল জাতীয় দলের। গতকাল অবশ্য হাত দিয়েই হাতি (ভারত) মারার সুযোগ ছিল যুবাদের সামনে। কিন্তু সেটা আর হলো কই? এবারও ব্যর্থদের দলে আকবর-মৃত্যুঞ্জয়রা।

অথচ দেশ ছাড়ার আগে বিমানবন্দরে কত কথা, ‘এবার স্নায়ুচাপে ভেঙে পড়ব না, আগের ভুল থেকে নিজেদের শুধরিয়ে নিয়েছি, এবার শিরোপা ঘরে আনবই......।’ কিন্তু কথার সঙ্গে কাজের ছিটেফোঁটাও মিল দেখা গেল না। ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেরা বোলার আকাশ সিংকে চোট নিয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছে, এরপরেও তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে জুনিয়র টাইগারদের ইনিংস।

কাল কলম্বোর প্রেমাদাসায় এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে জয় পেতে বাঘ শাবকদের চাই ১০৭ রান। নেহাতই মামুলি টার্গেট। কিন্তু সামান্য সেই লক্ষ্যে তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল ১০১ রানে। ফল রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ৫ রানে জিতে সপ্তমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন ভারত।

ফাইনালের হতশ্রী ব্যাটিং, বাজে হার স্বাভাবিকবাবেই ভীষণ কষ্ট দিয়েছে দেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের। মহাপরাক্রমশালী ভারতকে হারিয়ে শিরোপা উদ্যাপনের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করাটা কিছুতেই মানতে পারছেন না টাইগারভক্তরা। মানবেনই বা কী করে? এই সামান্য পুঁজি নিয়েও ভারত ঠিকই ফাইনালে শ্রেষ্ঠত্ব দেখাল। এমন সুযোগ যে বারবার আসবে না।

অথচ কাল সকালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের মাত্র ১০৬ রানে প্যাকেট করে বোলাররা শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার উপলক্ষ তৈরি করেছিল। কিন্তু মৃত্যুঞ্জয়-শামীমদের সাজানো সেই বাগান যে পা ডলা দিয়ে নষ্ট করে এসেছে দলের ব্যাটসম্যানরা। প্রেমাদাসার ২২ গজ ব্যাটসম্যানদের জন্য মোটেও বধ্যভূমি ছিল না। কিন্তু যে কায়দায় তানজিদ হাসান-তৌহিদ হৃদয়রা আউট হয়েছে, সেটা স্রেফ ভারতীয় বোলারদের উপহার।

১০৭ রানের মামুলি টার্গেটে পৌঁছতে প্রয়োজন কেবল একটা ছোটখাটো জুটি। কিন্তু ম্যাচ জেতানোর মতো সেই জুটিই যে গড়তে পারল না বাংলাদেশ। যুবাদের প্রথম পাঁচজনের কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৩ রান এসেছে দলনেতা আকবর আলির ব্যাট থেকে। তার বিদায়ের পরই জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে ভারত। মাঝে বৃষ্টির কারণে কয়েক মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। বৃষ্টি থামতেই বাংলাদেশের উইকেট পতনের ধারাবাহিকতা ফের শুরু। মৃত্যুঞ্জয় (২১), তানজিম (১২), রাকিবুলরা (১১*) চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

ভারতের বাঁহাতি স্পিনার আতহার্ভা আনকোলেকার ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে লো স্কোরিং ফাইনালের জয়ের নায়ক। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার আগে পেসার আকাশ সিংও মাত্র ১২ রান খরচায় শিকার করেছেন ৩ উইকেট। ম্যাচের নায়কদের তো পেলেন, এখন কি খলনায়কদের খুঁজছেন? সেটা যে যুবাদের ব্যাটিং লাইনআপের টপ ও মিডল অর্ডাররা, তা না লিখলেও বোধহয় চলত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close