ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২৪ জুন, ২০১৯

হারিস-বাবরের ব্যাটে বড় সংগ্রহ পাকিস্তানের

নিষ্প্রভ শোয়েব মালিকের জায়গায় কাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তান একাদশে হারিস সোহেলকে জায়গা করে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। আর তাতেই বাজিমাত! সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কী দুর্দান্ত ব্যাটিংটাই না করলেন হারিস। মাত্র ৫৯ বলে ৮৯ রানের দারুণ এক ইনিংসে তিনি নিজের অন্তর্ভুক্তির সার্থকতা প্রমাণ করেছেন। তাতে টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তও সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এই ইনিংসের সঙ্গে বাবর আজমের ৬৯ আর দুই ওপেনারের মধ্য চল্লিশের দুই ইনিংসে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩০৮ রান তুলেছে পাকিস্তান।

লক্ষ্য তাড়ায় অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির কাঁধে রানের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছেন হাশিম আমলা, কুইন্টন ডি কক ও এইডেন মার্করাম। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১০৬ রান। ততক্ষণে ফুরিয়ে গেছে ইনিংসের অর্ধেকটা।

এর আগে রোববার ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে কাল ভারত ম্যাচের ভুল শোধরান সরফরাজ আহমেদ। এবার টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান তিনি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে দুরন্ত সূচনা করেন ইমাম-উল-হক ও ফখর জামান। উদ্বোধনী জুটিতে তারা করেন ৮১ রান। দুজনই ব্যক্তিগত ৪৪ রান করে আউট হন। দুই ওপেনারকেই তুলে নেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইমরান তাহির।

ফখর-ইমামের বিদায়ের পর সেøা হয়ে যাওয়া রানের চাকা সচল করতে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে জুটি গড়তে থাকেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজ। কিন্তু দুজনে মিলে ৯.৩ ওভার খেলে ৪৫ রান তুলেই বিচ্ছিন্ন হন পার্টটাইম বোলার মার্করামের স্পিনে। ৩০তম ওভারের শেষ বলে লেগবিফোর হয়ে ফেরার আগে ৩৩ বলে এক ছক্কায় ২০ রান করেন হাফিজ। তিনি ফেরার পর ক্রিজে এসে বাবর আজমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হারিস সোহেল। বেশ চালিয়েই খেলতে থাকা এই জুটি ৬৮ বলেই স্কোরে জমা করে ফেলে ৮১টি রান। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ফেহলুখাইয়োকে কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে এনগিদির তালুবন্দি হন এই ইনিংসের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান বাবর আজম। সাজঘরে ফেরার আগে ৮০ বল মোকাবিলায় সাত বাউন্ডারিতে ৬৪ রান করেন তিনি। ৪২তম ওভারে বাবর আজম আউট হলেও থেমে থাকেননি মারকুটে হারিস সোহেল। ক্রিজে নতুন আসা ইমাদ ওয়াসিমকে পরবর্তী ১২টি বল খেলতে না দিয়ে একাই তুলে নেন ১৯ রান। সেইসঙ্গে এরই মধ্যে তুলে নেন নিজের প্রথম বিশ্বকাপ ফিফটি। ৩৮ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ওই ঝড়ো ফিফটি পূরণ করেন তিনি। শুধু ফিফটি করেই থেমে থাকেনি মারকুটে হারিসের ব্যাট। ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৯ বল খেলেই করে ফেলেন ৮৯ রান। অন্যদিকে ৪৮তম ওভারের শেষ বলে ইমাদকে এবং ৫০তম ওভারের প্রথম বলে ওয়াহাবকে আউট করে এ আসরের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিডি। কিন্তু সরফরাজ এসে তার সেই আশায় পানি ঢেলে দেন। তবে পঞ্চম বলে হারিসকে ফিরিয়ে ঠিকই নিজের ঝুলিতে তিন উইকেট পুরেন এই কৃষ্ণাঙ্গ পেসার।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close