ক্রীড়া প্রতিবেদক
দুর্দান্ত মুশফিকে ছুটছে চিটাগং
সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলেছে চিটাগং ভাইকিংস। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছে চিটাগং ভাইকিংস। নিজেদের মাঠে বিপিএল ফেরার আগে মুশফিকুর রহিমের দল কতটা ছন্দে আছে সেটা বোঝাতে প্রথম দুটি বাক্যই যথেষ্ঠ। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা চিটাগং এবার হারিয়েছে রাজশাহী কিংসকে। মিরাজদের ছুড়ে দেওয়া ১৫৭ রানের জবাবে ২ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে চিটাগং ভাইকিংস ((১৫৯/৪)।
৭ ম্যাচের মধ্যে এনিয়ে ৬টিতেই জিতল মুশফিকুর রহিমের দল। এই জয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসকে টপকে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে বন্দর নগরির ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দুই দলই ৮ ম্যাচ খেলে ৫টিতে জিতেছে। সমান ম্যাচে ৪টি করে জয় আছে রংপুর রাইডার্স ও রাজশাহী কিংসের।
কঠিন লক্ষ্য তাড়া করে বড় ব্যবধানে জিতলেও ভাইকিংসের শুরুটা ছিল কঠিন বিপর্যয় দিয়ে। স্কোর বোর্ডে ৩০ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরে যান ক্রিস ডেলপোর্ট, ইয়াসির আলি ও মোহাম্মদ শাহজাদ। প্রথম দুজন মিলে করেছেন ৪ রান। শাহজাদের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ রান। ১৭ বলের ইনিংসে ৫টি চার মেরেছেন আফগান ওপেনার।
কঠিন এই চাপটা সামলে নিয়েছে চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। চতুর্থ উইকেট জুটিতে নাজিবুল্লাহ জাদ্রানকে নিয়ে ৪১ রানের জুটি গড়েন তিনি। ১৯ বলে ২৩ রান করে জাদ্রান ফিওে গেলেও টিকে থাকলেন মুশফিক। ৪৬ বলে ৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই উইকেট ছেড়েছেন আসরজুড়ে ফর্মে থাকা মুশফিক। তাকে সঙ্গে দেওয়ার পাশাপাশি ঝড় তুলেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ২৬ বলে ৪৩ রান করেছেন তিনি।
এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেয়িামে টস হেরে ব্যাট করতে নামা রাজশাহী কিংসের ইনিংসের শুরুটাও ভালো ছিল না। স্কোর বোর্ডে ৮ রান জমা পড়তেই আউট হয়ে যান সৌম্য সরকার ও মার্শাল আইয়ুব। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ইনিংস মেরামতের কাজে এগিয়ে আসেন লরি ইভান্স ও রায়ান টেন ডেসকাটে। এই যুগলবন্দিতে এসেছে ৫৪ রান। ডেসকাটে ২০ বলে ২৮ রান করে আউট হয়েছেন।
জাকির হোসেনের সঙ্গে ইভান্সের জুটিটা জমেনি। ক্রিশ্চিয়ান জোঙ্কারের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলীয় সংগ্রহ তিন অংকে নিয়ে গেছেন ইভান্স। ২০ বলে ৩৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে নিজের উইকেট টিকিয়ে রেখেছেন জোঙ্কার। তার ইনিংস সাজানো হয়েছে ৩টি চার ও দুটি ছক্কায়। শেষ ওভারে ৪ বলে ১০ রান করেছেন মিরাজ। তাদের এসব ছোটখাটো অবদানে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল রাজশাহীর বোলাররা। তবে দলীয় সংগ্রহ দেড় শ ছাড়াতে মূল কাজটা করেছে ইভান্সের ৫৬ বলে ৭৪ রানের ঝলমলে ইনিংসটা।
"