ক্রীড়া প্রতিবেদক

  ২০ অক্টোবর, ২০১৮

প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

সৌম্য সরকারের সেঞ্চুরি

গত কয়েকটি ম্যাচে বাজে পারফরম্যান্সের কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে জায়গা হয়নি সৌম্য সরকারের। কাল তিনিই প্রস্তুতি ম্যাচে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হাঁকালেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যানের হার না মানা ১০২ রানের ইনিংসে ভর করে সফরকারী জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেট আর ৬৬ বল হাতে রেখে হারিয়েছে বিসিবি একাদশ।

সৌম্য সরকারের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটি ছিল ১১৪ বলের। ১০২ রানের ইনিংস তিনি সাজিয়েছেন ১৩টি বাউন্ডারি আর ১টি ছক্কায়। ৪৮ বলে ৩৩ রান করে মোসাদ্দেক হোসেন স্বেচ্ছা অবসরে যান।

কাল সাভারের বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা পরিষদের (বিকেএসপি) তিন নাম্বার মাঠে চলমান প্রস্তুতি ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং প্রস্তুতিটা পুরোপুরি ভেস্তে দিয়েছেন মূলত এবাদত এবং সাইফউদ্দীন। দুইজনের বোলিং তোপে মাত্র ১৭৮ রানেই অলআউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে, তাদের ইনিংসে বাকি ছিল আরো ২৮টি বল।

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে উইকেটের পেছনে ক্যাচে পরিণত করেন এবাদত হোসেন চৌধুরী। আউট হওয়ার আগে আরভিন করেন এক রান। পরের ওভারের শেষ বলে জিম্বাবুইয়ানদের অন্যতম ভরসার পাত্র ব্রেন্ডন টেলরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন। তার ব্যাট থেকে আসে ছয় রান। তৃতীয় উইকেটে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও শন উইলিয়ামস। তখনই আবার আঘাত হানেন এবাদত। ফিরিয়ে দেন উইলিয়ামসকে।

মাত্র ১৬ ওভারেই ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসা জিম্বাবুয়ের ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক মাসাকাদজা এবং সাবেক অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা। দুজন মিলে ২৮ ওভারে গড়েন ১২৪ রানের জুটি। ঠিক তখনই দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে আসেন এবাদত ও সাইফউদ্দীন। ৪৪তম ওভারের শেষ বলে চিগুম্বুরাকে সরাসরি বোল্ড করার মাধ্যমে জুটি ভাঙেন সাইফ। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র তিন রান দূরে থাকতে ফেরেন চিগুম্বুরা। তিনি ফিরে গেলেও উইকেটে টিকে থেকে সেঞ্চুরি তুলে নেন মাসাকাদজা।

শুরুতে রয়ে সয়ে খেলা মাসাকাদজা নিজের ফিফটি করেন ৯১ বল খেলে। দ্বিতীয় ৫০ করতে নেন আর মাত্র ৪৩টি বল। সব মিলিয়ে ১৩৪ বলে ১৪ চার ও ১ ছক্কার মারে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। তবে সেঞ্চুরির পর আর তাকে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে দেননি এবাদত।

ইনিংসের ৪৫তম ওভারে চার বলের মধ্যে তিন উইকেট নেন এবাদত। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০২ রান করে ফেরেন মাসাকাদজা। তার উইকেট দিয়েই এবাদত পূরণ করেন নিজের পাঁচ উইকেট। ৪৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ডোনাল্ড তিরিপানোকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের ইনিংসে সিলমোহর বসিয়ে দেন সাইফ।

নয় ওভারের স্পেলে তিন মেইডেনের সাহায্যে মাত্র ১৯ রান খরচায় পাঁচটি উইকেট নেন এবাদত। ৭.২ ওভার বোলিং করে ৩২ রান খরচায় তিনটি উইকেট নেন সাইফ। এ ছাড়া মোহর শেখ ও ইমরান আলী নেন একটি করে উইকেট।

সৌম্যের ব্যাটিং নিয়ে নির্বাচকমন্ডলীর প্রধান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘লাঞ্চের পর সৌম্য সরকারের ব্যাটিংটা যথেষ্ট ভালো লেগেছে। আমি মনে করি ওর যে ব্যাড প্যাচ ছিল, সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে সৌম্য। লাস্ট এনসিএল ম্যাচটাও যথেষ্ট ভালো খেলেছে। আমার বিশ্বাস, ফর্মে ফিরে আসলে সৌম্য খুব শিগগিরই আবার টিমে ফিরে আসবে।’

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জিম্বাবুয়ে:১৭৮ (৪৫.২ ওভার, অলআউট)

মাসাকাদজা: ১০২, চিগুম্বুরা: ৪৭, রাজা: ৯

ইবাদত: ৯-৩-১৯-৫, সাইফউদ্দিন: ৭.২-০-৩২-৩, ইমরান: ৫-১-২৮-১

বিসিবি একাদশ:১৮১ (৩৯ ওভার, ২উইকেট)

সৌম্য: ১১৪, মোসাদ্দেক: ৩৩, ফজলে:১৩

রাজা: ৬-০-২১-১, জারভিস: ৫-২-৯-০, চাতারা: ৫-০-২৪-০

ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী

ম্যাচ সেরা : সৌম্য সরকার

টস: জিম্বাবুয়ে

ভেন্যু: বিকেএসপি (প্রস্তুতি ম্যাচ)

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close