ক্রীড়া ডেস্ক
‘প্রতিটি ম্যাচই কঠিন ছিল’
রাশিয়া বিশ্বকাপে লুঝনিকির ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে দুই দশক পর বিশ্বচ্যাম্পিয়নের শিরোপা ঘরে তুলেছে ফ্রান্স। তবে তার আগে দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হয়েছিল ফরাসিরা। বিশ্বজয়ের পথে সেই ম্যাচটিকেই টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে নিয়েছিল দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা। পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে আর্জেন্টিনাকে হারানো এবং বিশ্বকাপ থেকে লিওনেল মেসিকে ছিটকে দেওয়া প্রতিযোগিতাটিতে পুরো পথ পাড়ি দিতে ফ্রান্সকে আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল বলে জানালেন দলটির অধিনায়ক হুগো লরিস।
শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া ফ্রান্সের রাশিয়া বিশ্বকাপ শেষ হতে পারতো শেষ ষোলোতেই। এই লড়াইয়ে ২০১৪ আসরের রানার্সআপ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে এক পর্যায়ে ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল তারা। এরপর পাভারের দারুণ এক গোলে সমতায় ফিরে ফ্রান্স। পরে কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ৪-৩ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দিদিয়ের দেশমের দল। বলতে গেলে ফ্রান্সের জন্য ভীতি ছড়ানো একমাত্র ম্যাচ ছিল এটাই। এরপর কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ে ও সেমিফাইনালে বেলজিয়ামকে হারায় তারা। আর ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে ফরাসিরা। নকআউট পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয় দলকে অনেক উজ্জীবিত করেছিল বলে জানালেন লরিস। অমনি স্পোর্টকে ফ্রান্সের গোলরক্ষক বলেন, ‘আমরা আর্জেন্টিনাকে হারিয়েছিলাম... মেসির আর্জেন্টিনাকে।’
লরিস আরো বলেন, ‘এটা আমাদের বুঝিয়েছিল যে, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য আছে। প্রতিটি ম্যাচই ছিল কঠিন। তবে আমরা খুব ভালো করেছিলাম। আমরা অনুভব করতে পেরেছিলাম, খুবই শক্তিশালী একটা দল সামনের চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য প্রস্তুত। ওই ম্যাচের পর ফাইনাল পর্যন্ত আমরা একের পর এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলাম।’ পরবর্তী ইতিহাসটা তো সবারই জানা। মস্কোর লুঝনিকির ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৪-২ গোলে জয় পেয়েছিল ফ্রান্স। দুই দশক পরে ফরাসিদের মুখে হাসিটা ফিরিয়ে দিয়েছিল আঁতোয়ান গ্রিজম্যান, পল পগবা ও কিলিয়ান এমবাপ্পেরা।
"