ক্রীড়া প্রতিবেদক
নির্বাচকদের ওপর ক্ষুব্ধ রাসেল
২০১০ সালে বেলফাস্টে শেষবার লাল-সবুজ জার্সিতে দেখা গিয়েছিল সৈয়দ রাসেলকে। এরপর থেকেই চোট ও ফর্মহীনতার সঙ্গে শুরু হয়েছে বাঁ-হাতি পেসারের লড়াই। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সবশেষ ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ধূসর হয়ে যাওয়া স্বপ্নটা পুণরুজ্জীবিত হয়েছে রাসেলের। কিন্তু জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ের শেষদিকে এসে আশাহত হলেন তিনি। ঢাকা লিগের প্লেয়ার্স ড্রাফটের তালিকায় রাসেলকে রাখা হয়েছে সবশেষ গ্রেডে!
বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশ করা হয়েছে ড্রাফটের ২২৭ ক্রিকেটারের তালিকা, যেখানে সবশেষ ‘সি’ গ্রেডে রাখা হয়েছে রাসেলকে, যেখানে পারিশ্রমিক সাড়ে তিন লাখ টাকা।
দীর্ঘদিনের চোট কাটিয়ে আড়াই বছর পর গত ঢাকা লিগে ফেরেন রাসেল। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে খেলেন ৬টি ম্যাচ। আহামরি কিছু না হলেও ফেরার পর খুব খারাপও ছিল না পারফরম্যান্স। উইকেট নিয়েছিলেন ৮টি। সবশেষ ম্যাচে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৩ রানে।
শেষের ওই পারফরম্যান্স জানান দিচ্ছিল, আবার নিজেকে ফিরে পাওয়ার পথেই এগোচ্ছেন রাসেল। এবার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আরো ভালো করে। কিন্তু তালিকায় সবশেষ ক্যাটাগরিতে নিজেকে দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েছেন। সবশেষ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে জাতীয় দলের বাইরে থাকা আরেক পেসার রবিউল ইসলামকেও। তালিকার সেই ছবি দেখিয়ে রাসেল ক্ষোভ জানিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। রাসেল লিখেছেন, ‘নির্বাচকদের বলছি, মনটা আরেকটু বড় করুন। টেস্ট খেলা দুজন ক্রিকেটারকে এভাবে অপমান না করলেও পারতেন। আপনারাই বলেন শ্রদ্ধা করতে, কিন্তু নিজেরাই শ্রদ্ধা করতে শিখলেন না। রেকর্ড ঘাটুন। পারফর্ম করে ক্রিকেট খেলি, চেহারা দেখিয়ে নয়।’
বাংলাদেশের হয়ে ৬ টেস্ট, ৫২ ওয়ানডে ও ৮টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৩৩ বছর বয়সী রাসেল। ২০০৭ বিশ্বকাপে দলের সাফল্যে ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান। একসময় ওয়ানডেতে ছিলেন দলের পেস আক্রমণের বড় ভরসা।
"