reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ জুন, ২০২১

‘জননী সাহসিকা’ কবি বেগম সুফিয়া কামাল

জন্ম ও শৈশব : বেগম সুফিয়া কামাল ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আবদুল বারী এবং মা সৈয়দা সাবেরা খাতুন। তার বাবা কুমিল্লার বাসিন্দা ছিলেন। সুফিয়া কামালের ডাকনাম ছিল হাসনা বানু। আরব্য উপন্যাসের হাতেম তাইয়ের কাহিনি শুনে নামটি রেখেছিলেন তার নানি। তবে দরবেশ নানা তার নাম রেখেছিলেন সুফিয়া খাতুন। ‘একালে আমাদের কাল’ শীর্ষক লেখায় সুফিয়া কামাল তার জন্ম প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মাটিকে বাদ দিয়ে ফুল গাছের যেমন কোনো অস্তিত্ব নেই, আমার মাকে বাদ দিয়ে আমারও তেমন কোনো কথা নেই।’ সুফিয়া কামালের বাবা সৈয়দ আবদুল বারি পেশায় ছিলেন উকিল। সুফিয়ার যখন সাত বছর বয়স তখন তার বাবা গৃহত্যাগ করেন। ফলে তার মা সাবেরা খাতুন অনেকটা বাধ্য হয়ে তাকে নিয়ে বাবাবাড়িতে আশ্রয় নেন। এ কারণে তার শৈশব কেটেছিল নানাবাড়িতে। বাবার অনুপস্থিতিতে তিনি মা সৈয়দা সাবেরা খাতুনের পরিচর্যায় লালিত-পালিত হতে থাকেন। তার মা ছিলেন শায়েস্তাবাদের নবাব পরিবারের মেয়ে। সেই পরিবারের কথ্য ভাষা ছিল উর্দু। এ কারণে অন্দরমহলে মেয়েদের আরবি, ফারসি শিক্ষাব্যবস্থা থাকলেও বাংলা শেখানোর কোনো ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বাংলা শেখেন মূলত তার মায়ের কাছে। তার বড় মামার একটি গ্রন্থাগার ছিল। মায়ের উৎসাহ ও সহায়তায় সেখানে বই পড়ার সুযোগ হয়েছিল তার।

সামাজিক কর্মকাণ্ড : সুফিয়া কামাল সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সমাজসেবা ও বিভিন্ন সংগঠনে যুক্ত ছিলেন। সমাজসেবা ও সংগঠনমূলক কাজের বিষয়ে সুফিয়া কামাল বর্ণনা করেন, “প্রথম জীবনে কাজ করার পর ১৮ থেকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত আমি বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের প্রতিষ্ঠিত কলকাতার ‘আঞ্জুমান মাওয়াতিনে’ কাজ করি। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ ছিল কলকাতার বস্তি এলাকার মুসলমান মেয়েদের মনোভাবে একটু শিক্ষিত করে তোলা। হামিদা মোমেন, শামসুন্নাহার মাহমুদ, সরলা রায়, জগদীশ বাবুর স্ত্রী অবলা বসু, ব্রহ্মকুমারী দেবী তারা সবাই ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানে। আমার স্বামী ছিলেন উদার প্রকৃতির মানুষ, এসব কাজে তার কাছ থেকে প্রচুর উৎসাহ পেয়েছি আমি। এরপর ১৯৪৩-এর দুর্ভিক্ষের সময় বর্ধমানে এবং ১৯৪৬-এর ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে’-এর হিন্দু মুসলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর বিপন্ন এবং আহতদের মধ্যে কাজ করেছি। এ সময়ই তো হাজেরা মাহমুদ, রোকেয়া কবীর, হোসনা রশীদ ও তোমার (নূরজাহান মুরশিদ) সঙ্গে আমার পরিচয় হলো। ১৯৪৭-এর পরই ঢাকায় এলাম। প্রথমে ওয়ারী মহিলা সমিতি প্রতিষ্ঠিত করি এবং এই সমিতির মাধ্যমেই কাজ শুরু করি। প্রখ্যাত নেত্রী লীলা রায় আমাকে সমাজকল্যাণের কাজে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানান। এরপর পর্যায়ক্রমে ভাষা আন্দোলন, গণ-আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে আমি বিশেষভাবে জড়িয়ে পড়ি।”

১৯৩১ সালে সুফিয়া মুসলিম মহিলাদের মধ্যে প্রথম ‘ভারতীয় মহিলা ফেডারেশন’-এর সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৩৩-৪১ পর্যন্ত তিনি কলকাতা করপোরেশন প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এই স্কুলেই তার পরিচয় হয় প্রাবন্ধিক আবদুল কাদির এবং কবি জসীম উদ্দীনের সঙ্গে। ১৯৪৮ সালে সুফিয়া ব্যাপকভাবে সমাজসেবা ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি রক্ষার উদ্দেশ্যে শান্তি কমিটিতে যোগ দেন। এ বছরই তাকে সভানেত্রী করে ‘পূর্ব পাকিস্তান মহিলা সমিতি’ গঠিত হয়। ১৯৪৯ সালে তার যুগ্ম সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সুলতানা পত্রিকা, যার নামকরণ করা হয় বেগম রোকেয়ার সুলতানার স্বপ্নগ্রন্থের প্রধান চরিত্রের নামানুসারে।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সুফিয়া কামাল সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তান সরকার বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির ওপর দমন-নীতির অংশ হিসেবে রবীন্দ্রনাথকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলে তিনি তার বিরুদ্ধেও তীব্র প্রতিবাদ জানান। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথের জন্মশতবর্ষে তিনি ‘সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন’ পরিচালনা করেন। ১৯৬৯ সালে ‘মহিলা সংগ্রাম পরিষদ’ (বর্তমানে-বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ) গঠিত হলে তিনি তার প্রতিষ্ঠাতা প্রধান নির্বাচিত হন এবং আজীবন তিনি এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

স্বাধীনতার পরও সুফিয়া কামাল অনেক সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। তিনি যেসব সংগঠনের প্রতিষ্ঠাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন সেগুলো হলো বাংলাদেশ মহিলা পুনর্বাসন বোর্ড, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন কমিটি এবং দুস্থ পুনর্বাসন সংস্থা। এ ছাড়া তিনি ছায়ানট, বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশন এবং নারী কল্যাণ সংস্থার সভানেত্রী ছিলেন।

কবির দৃষ্টিভঙ্গি : সুফিয়া কামাল নারীর সামাজিক শৃঙ্খল ভেঙে মুক্তির দিগন্ত উন্মোচন করার জন্য নিবেদিত ছিলেন। নারীর সামগ্রিক মুক্তির জন্য তার ভূমিকা ছিল সমসময়ের জন্য উদ্দীপনামূলক ও আগ্রহ উদ্দীপক, সে কারণে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে এই দেখে যে, মেয়েরা আগের তুলনায় এখন অনেক সাহসী হয়েছে। মেয়েরা এখন রাস্তায় বেরিয়ে অন্তত নিজেদের কথা বলতে শিখেছে। আমরা চেয়েছিলাম, মেয়েরা কথা বলতে শিখুক, সাহসী হয়ে উঠুক, নিজেদের অধিকার তারা বুঝতে পারুক। এটা এখন হয়েছে। এটা বড় আনন্দের।’ তবে নারীর স্বাধীনতা সম্পর্কে সুফিয়া কামালের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধগত বিবেচনা ছিল, এ কারণে তিনি নারী স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে নীতি-আদর্শ-ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন।

সাহিত্যচর্চার সূচনা : ১৯২৪ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মামাতো ভাই সৈয়দ নেহাল হোসেনের সঙ্গে সুফিয়ার বিয়ে দেওয়া হয়। তখন তিনি সুফিয়া এন হোসেন নামে পরিচিত হন। নেহাল অপেক্ষাকৃত আধুনিকমনস্ক ছিলেন। তিনি সুফিয়া কামালকে সমাজসেবা ও সাহিত্যচর্চায় উৎসাহিত করেন।

সাহিত্য ও সাময়িক পত্রিকার সঙ্গে সুফিয়ার যোগাযোগও ঘটিয়ে দেন। সুফিয়া কামাল সে সময়ের বাঙালি সাহিত্যিকদের লেখা পড়তে শুরু করেন। ১৯১৮ সালে কলকাতায় গিয়েছিলেন সুফিয়া কামাল। সেখানে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে তার দেখা হয়েছিল। সুফিয়া কামালের শিশুমনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন বেগম রোকেয়ার কথা ও কাজ। সুফিয়া কামালের কাজকর্মেও ছাপ পাওয়া যায় বেগম রোকেয়ার।

সাহিত্যপাঠের পাশাপাশি সুফিয়া কামাল সাহিত্য রচনাও শুরু করেন। ১৯২৩ সালে তিনি রচনা করেন তার প্রথম গল্প ‘সৈনিক বধূ’, যা বরিশালের ‘তরুণ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯২৬ সালে তার প্রথম কবিতা বাসন্তী সেসময়ের প্রভাবশালী সাময়িকী সওগাতে প্রকাশিত হয়। ত্রিশের দশকে কলকাতায় অবস্থানকালে বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল নক্ষত্র রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্র প্রমুখের দেখাও পান।

১৯৩৮ সালে প্রকাশিত হয় তার ‘সাঁঝের মায়া’ কাব্যগ্রন্থ। এর ভূমিকা লিখেছিলেন নজরুল। গ্রন্থটি পড়ে প্রশংসা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। একটি চিঠিতে সুফিয়া কামালকে তিনি লেখেন, ‘তোমার কবিত্ব আমাকে বিস্মিত করে। বাংলা সাহিত্যে তোমার স্থান উচ্চে এবং ধ্রুব তোমার প্রতিষ্ঠা।’

সুফিয়া কামাল ‘একালে আমাদের কাল’ নামে একটি আত্মজীবনী রচনা করেছেন। তাতে তার ছোটবেলার কথা এবং বেগম রোকেয়ার প্রসঙ্গ স্থান পেয়েছে। তিনি অনেক ছোটগল্প এবং ক্ষুদ্র উপন্যাসও রচনা করেছেন।

কেয়ার কাঁটা তার একটি উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ। তার আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ হলো মায়া কাজল, মন ও জীবন, উত্তপ্ত পৃথিবী, অভিযাত্রিক ইত্যাদি। তার কবিতা চীনা, ইংরেজি, জার্মান, ইতালিয়ান, পোলিশ, রুশ, ভিয়েতনামিজ, হিন্দি ও উর্দু ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

১৯৮৪ সালে রুশ ভাষায় তার সাঁঝের মায়া গ্রন্থটি সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে প্রকাশিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়ও তার বেশকিছু কবিতা প্রকাশিত হয়। ২০০১ সালে বাংলা একাডেমি তার কিছু কবিতার ইংরেজি অনুবাদ দিয়ে Mother of Pears and other poem এবং ২০০২ সালে সুফিয়া কামালের রচনা সমগ্র প্রকাশ করেছে।

মুসলিম নারীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার জন্য বেগম রোকেয়ার প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলামে’ রোকেয়ার সঙ্গে সুফিয়া কামালের পরিচয় হয়। বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা ও প্রতিজ্ঞা তার মধ্যেও সঞ্চারিত হয়, যা তার জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলে।

নিজের সাহিত্য প্রয়াসের সূচনা প্রসঙ্গে তিনি স্মৃতিচারণ করে লেখেন, ‘এমনি কোনো বর্ষণমুখর দিনে মুসলমান সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত কাজী নজরুল ইসলামের লেখা পড়ছিলাম বানান করে। প্রেম, বিরহ, মিলন এসবের মানে কি তখন বুঝি? তবু যে কী ভালো, কী ব্যথা লেগেছিল, তা প্রকাশের ভাষা কি আজ আর আছে? গদ্য লেখার সেই নেশা। এরপর প্রবাসী পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়তে পড়তে অদ্ভুত এক মোহগ্রস্তভাব এসে মনকে যেকোনো অজানা রাজ্যে নিয়ে যেত। এরপর দেখতাম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, বেগম সারা তাইফুর লিখছেন। কবিতা লিখছেন বেগম মোতাহেরা বানু। মনে হলো ওরা লিখছেন আমিও কি লিখতে পারি না? শুরু হলো লেখা লেখা খেলা। কী গোপনে, কত কুণ্ঠায়, ভীষণ লজ্জার সেই হিজিবিজি লেখা ছড়া, গল্প। কিন্তু কোনোটাই কি মনের মতো হয়! কেউ জানবে, কেউ দেখে ফেলবে বলে ভয়ে ভাবনায় সে লেখা কত লুকিয়ে রেখে আবার দেখে দেখে নিজেই শরমে সংকুচিত হয়ে উঠি।’

কাব্যগ্রন্থ : সাঁঝের মায়া (১৯৩৮), মায়া কাজল (১৯৫১), মন ও জীবন (১৯৫৭), প্রশস্তি ও প্রার্থনা (১৯৫৮), উদাত্ত পৃথিবী (১৯৬৪), দিওয়ান (১৯৬৬), অভিযাত্রিক (১৯৬৯), মৃত্তিকার ঘ্যাণ (১৯৭০), মোর জাদুদের সমাধি পরে (১৯৭২)।

গল্প : কেয়ার কাঁটা (১৯৩৭)

ভ্রমণকাহিনি : সোভিয়েতে দিনগুলি (১৯৬৮)

স্মৃতিকথা : একাত্তরের ডায়েরি (১৯৮৯)

আত্মজীবনীমূলক রচনা, একালে আমাদের, কাল (১৯৮৮)

শিশুতোষ : ইতল বিতল (১৯৬৫)

নওল কিশোরের, দরবারে (১৯৮১)

পুরস্কার : পাকিস্তান সরকারের তমঘা-ই-ইমতিয়াজ (১৯৬১), (প্রত্যাখান করেন ১৯৬৯), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬২), সোভিয়েত লেনিন পদক (১৯৭০), একুশে পদক (১৯৭৬), নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), সংগ্রামী নারী পুরস্কার, চেকোশ্লোভাকিয়া (১৯৮১), মুক্তধারা পুরস্কার (১৯৮২), বেগম রোকেয়া পদক (১৯৯৬), জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার (১৯৯৫), দেশবন্ধু সি আর দাস গোল্ড মেডেল (১৯৯৬), স্বাধীনতা দিবস পদক (১৯৯৭)।

শেষ জীবন : বহু ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে তারুণ্য পার করেছেন সুফিয়া কামাল। ১৯৩২ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে স্বামী নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যু তাকে আর্থিক সমস্যায় নিপতিত করে। একই বছর বেগম রোকেয়ার মৃত্যুও তাকে মর্মাহত করে। তবে পারিবারিক অর্থনৈতিক অসহায়ত্ব তাকে দমাতে পারেনি। সব বাধা অতিক্রম করে তিনি জয় করেছেন মানবসত্তা। ১৯৩৯ সালে কামালউদ্দিন খানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৪১ সালে মারা যান তার মা। এরপর ছেলে শোয়েবকে হারান ১৯৬৩ সালে। স্বামী কামালউদ্দিন খানকে হারান ১৯৭৭ সালে।

সুফিয়া কামাল ৫০টির বেশি পুরস্কার লাভ করেছেন। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর ঢাকায় সুফিয়া কামাল মৃত্যুবরণ করেন। তাকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। বাংলাদেশি নারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এ সম্মান লাভ করেন। প্রতি বছর এ দিনটিতে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করা হয়। তথ্যসূত্র : সংগৃহীত

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close