প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ০৬ মে, ২০২৪

ঝড়-বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ছয়জনের মৃত্যু

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ চারজন ও কিশোরগঞ্জে ঝড়ে গাছচাপা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রবিবার ও গত শনিবার এসব ঘটনা ঘটে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির তিন উপজেলায় বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ চারজনের প্রাণ গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুজন। গতকাল ভোরে দীঘিনালা, মাটিরাঙা ও রামগড় উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বেতছড়ির গোরস্থান এলাকার গাড়িচালক ছাদেক আলীর স্ত্রী হাসিনা বেগম (৩০) ও তার ছেলে হানিফ মিয়া (৮), রামগড় উপজেলার হাজাপাড়া এলাকার গনজ মারমা (৫৫) এবং মাটিরাঙার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশী কার্বারী পাড়ার সমিকা ত্রিপুরা (২৬)।

দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টায় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় বজ্রপাতে ছাদেক মিয়ার বসতঘরে আগুন লাগে। এতে ঘরের ভেতরে থাকা হাসিনা বেগম ও তার ছেলে হানিফ মিয়া আগুনে অঙ্গার হয়ে যায়। এ সময় হাসিনার আরেক সন্তান ১১ বছর বয়সি মো. হাবিজ ঘরের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছে। পরে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিভিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরুল হক বলেন, বজ্রপাতে নিহত মা-সন্তানের লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রামগড় উপজেলার হাজাপাড়া এলাকায় ব্রজপাতে গনজ মারমা নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে রামগড় থানার ওসি দেবাশীষ দাস জানান। মাটিরাঙার বেলছড়ি ইউনিয়নের শশী কার্বারী পাড়ায় বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে মাটিরাঙা থানার ওসি কৃষ্ণ কমল দে জানান। তিনি বলেন, ভোর রাতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় বজ্রপাতে সমিকা ত্রিপুরা গুরুতর আহত হন। পরে তাকে মাটিরাঙা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার দুই সন্তানও আহত হয়েছেন বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় প্রচণ্ড ঝড়ের মধ্যে ঘরে গাছ পড়ে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার ছেলের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে গত শনিবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে করিমগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান। নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের কৃষক আবদুল কাইয়ুমের স্ত্রী রুপতারা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে তাইজুল (৫)। রুপতারা বেগম অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে তার স্বামী জানিয়েছেন।

ওসি বলেন, রাতের খাবার খেয়ে নিজেদের দোচালা টিনের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন রুপতারা ও তার ছেলে তাইজুল। রাত ১২টার দিকে কালবৈশাখী শুরু হলে আবদুল কাইয়ুমের বাড়িতে গাছ ভেঙে পড়ে। এ সময় ঘরটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে তার ছেলে তাইজুল ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং স্ত্রী রুপতারা বেগম গুরুতর আহত হন। রুপতারাকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাদের লাশ দুপুরে দাফন করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close