reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

অভিযানের পরও অস্থিতিশীল কেন নিত্যপণ্যের বাজার

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে স্বস্তিদায়ক কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না। অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছেন। অভিযানের পরও অস্থিতিশীল নিত্যপণ্যের বাজার। প্রশ্ন হলো, বাজার পর্যবেক্ষণে নানা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও অসাধু ব্যবসায়ীরা সফল হন কী করে?

নিত্যপণ্যের বাজার অস্থিতিশীল হতে শুরু করে সদ্য বিদায়ি বছরের শুরুতে ব্রয়লার মুরগির মূল্যবৃদ্ধি দিয়ে। জানুয়ারি থেকে মার্চ- মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজিতে বাড়ে ১৪০ টাকা। দাম বেড়ে দাঁড়ায় ২৮০ টাকা পর্যন্ত। পর্যায়ক্রমে ডিম, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ ও চিনির মতো নিত্যপণ্যের দামে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়। দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারিভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিদিনের সংবাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি কেজি খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ছিল ১১৩ টাকা। ১৩০ টাকার আদা ২২০, শুকনো মরিচ ৩৮৫ টাকা থাকলেও বছরের ব্যবধানে ৪৮০-৫৫০, ১৩৫ টাকার ব্রয়লার মুরগি ১৮০-২০০ এবং ৫৩৫ টাকা কেজির জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫০-১০২৫ টাকা কেজি দরে। গত বছর জুনের শেষ দিকে ঢাকার বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০ টাকায় ঠেকে। এখন অবশ্য মানভেদে ৬০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছরের জানুয়ারিতে ছিল ১০০-১২০ টাকা। বর্তমানে কারওয়ান বাজারে ডিমের হালি ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা। সাদা ডিমের ডজন ১৩৫-১৪০ এবং লাল বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৪৫ টাকায়। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে গত বছর ডিসেম্বরে দেশি পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২২০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় দাম কিছুটা কমলেও গত রবিবার থেকে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। দেশি ছাড়াও আমদানি করা রসুনের দামও দ্বিগুণ। মাত্র ৭৮ টাকা কেজির দেশি রসুন বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। আমদানি করা ১২০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। সেপ্টেম্বর মাস থেকে আলুর বাজার চড়তে শুরু করে। প্রতি কেজি আলু তখন ৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা। ঢাকার কাঁচাবাজারে গত ১০ দিনে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে। মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দামও গত তিন দিনে বেড়েছে।

মোট কথা, প্রতিটি নিত্যপণ্যের দামই চড়া। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। নতুন বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আদাজল খেয়ে মাঠে নামে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দ্রব্যমূল্যের লাগাম টানতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের যৌথ টিম। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে এসবের ফলাফল শূন্য। রমজানের বাকি আর মাস দেড়েক। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাড়তি চাহিদার বিষয়টি সামনে রেখে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী বা স্বার্থান্বেষী মহল বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে। সেজন্য কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে সতর্ক থাকবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close