reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৫ জানুয়ারি, ২০২৪

সাক্ষাৎকার

‘শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার-সচেতনে উদ্যোগ নিতে চাই’

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের বর্তমান পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইসিই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হোসেন। ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকেই বিভাগের শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধাসংশ্লিষ্ট কাজে অংশগ্রহণ করতে দেখা যেত তাকে। শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়া পূরণে কীভাবে তিনি চেষ্টা করছেন; সেসব নিয়ে প্রতিদিনের সংবাদের মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নাজমুল ইসলাম

ছাত্র উপদেষ্টা হয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক হিসেবে ভূমিকা রাখতে হয়। এ ক্ষেত্রে আপনার ভূমিকা কেমন?

ধন্যবাদ। প্রথমত একজন শিক্ষক হিসেবে এমনিতেই আমি শিক্ষার্থীদের অভিভাবক। পাশাপাশি ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক হওয়ায় এই জায়গার গুরুত্ব আরো বেড়ে গেছে। আমাদের দপ্তরের লক্ষ্যই শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া। অভিভাবক হিসেবে যেখানেই পারি, যেভাবেই পারি শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সচেষ্ট থাকি।

স্বভাবতই ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির বিভিন্ন দাবি-দাওয়া থাকে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণে কতটা চেষ্টা করছেন?

ব্যক্তি ছাত্র থেকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বা ছাত্রসংগঠন যারাই আমার কাছে কোনো বিষয় নিয়ে এসেছে তাদের আমি একটি কথাই বলি- তোমাদের জন্যই আমাদের এই দপ্তর। তোমাদের কিছু চাহিদা থাকবে। আমরা যে সবকিছুই পূরণ করতে পারব সেটি নয়, কিছু সীমাবদ্ধতা থাকবেই। তবুও সাধ্যের মধ্যে যতটুকু পারি তোমাদের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করি সব সময়। সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের সুপেয় পানির সংকট নিরসনে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ক্যাম্পাসের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরবরাহের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছি। আরেকটি কথা না বললেই নয় যে, শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যা জানা মাত্রই উপাচার্য দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করেন।

আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্যারিয়ারের বিভিন্ন সেক্টরে সফলতার পাশাপাশি বেশ কিছু সেক্টরে অনেকটা পিছিয়ে। এই দিকটির উন্নয়নে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের কোনো পরিকল্পনা আছে কি না জানাবেন?

পরিকল্পনা অবশ্যই আছে। তবে আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে ভালো পজিশনেও আছে। সেগুলোও সম্ভব হয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সুপরামর্শ ও দিকনির্দেশনাতেই। শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার বিষয়ে আরো সচেতন করে তুলতে আমরা ইতিমধ্যে ভেবেছি। চলতি বছরে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সচেতন করতে সেমিনার আয়োজন করার পরিকল্পনা আছে আমাদের। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার কথা ভেবে আমরা লাইব্রেরির সময়সীমা বৃদ্ধি করেছি। এ রকম আরো কোনো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা যায় কি না আমরা ভাবছি।

শিক্ষার্থীদের সহশিক্ষা কার্যক্রমগুলোতে কেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন?

সহশিক্ষা কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে শিক্ষার্থীরা সব সময় খেলছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও নিয়মিত বিভিন্ন খেলার আয়োজন করছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও বিভাগের সামাজিক-সাংস্কৃতিক আয়োজনে প্রায়ই মুখরিত থাকে কবি বন্দে আলী মিয়া মুক্তমঞ্চ। হলগুলোতে তাদের জন্য গেমস রুম ও টেলিভিশন রুম আছে। এ ছাড়া আমাদের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও হলের পত্রিকারুমে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা সহজলভ্য করা হয়েছে।

দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের প্রচেষ্টা কতটুকু?

এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এর আগেও কাজ করেছি, বর্তমানেও করছি। বেশ কিছুদিন আগে আমরা ২১টি বিভাগের ৪২ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়েছি। এবারে হয়তো প্রতি বিভাগে দুজনকে দিতে পেরেছি, ভবিষ্যতে আমরা এ সংখ্যাটা আরো বাড়াতে চাই। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চাই।

ধন্যবাদ আপনাকে।

ধন্যবাদ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close