reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২০ অক্টোবর, ২০১৯

এগিয়ে যাওয়া অর্থনীতি আমাদের অহংকার

অর্থনীতিই সমাজ কাঠামোর মূল চালিকাশক্তি। এই অর্থনীতির ওপরই নির্ভর করে গড়ে ওঠে পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের পরিকাঠামো। অর্থনীতি শক্তিশালী হলে নাগরিকও মর্যাদাবান হয়। স্থাপিত হতে পারে সুখ ও সমৃদ্ধির দৃষ্টান্ত। যেকোনো দেশের নাগরিকের ক্ষেত্রে বলা যায়, যার দেশের অর্থনীতি যত সমৃদ্ধ, তার অহংকারবোধও সমান্তরালভাবে সমৃদ্ধ। যখন শোনা যায়, বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বুকটা গর্বে ভরে ওঠে। বেড়ে যায় আত্মবিশ্বাস। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে সে রকম তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে। মিডিয়ার ভাষ্য মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে যখন বিশ্ব অর্থনীতিতে নিম্নমুখিতা দেখা দিয়েছে, চীনের প্রবৃদ্ধি ১৪ থেকে নেমে এসেছে ৭ শতাংশে, তখন বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। কথাটি বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়লেও এটাই বাস্তবতা। যাদের মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে আজ আমরা এই বাস্তবতাকে পেয়েছি, তারা এ দেশের জনগণ। কারো অনুকম্পা বা অনুগ্রহে পাওয়া নয়, এ প্রাপ্তি এ দেশের মানুষেরই অর্জন।

আইএমএফ বাংলাদেশের এ অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার সব স্তরেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বলা হয়েছে বিস্ময়। আইএমএফ বলেছে, পঞ্জিকাবর্ষ শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ দশমিক ৩ শতাংশ। কাক্সিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বে সেরা তিনের মধ্যে একটি। ২০০৮ সালে বিশ্বমন্দার সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি। এর একটি কারণ, আমাদের উৎপাদন আর চাহিদা সমান্তরালভাবেই এগিয়েছে। বিশ্বে ১৯৯৭ ও ২০০৮ সালে নানাবিধ কারণে অর্থনীতির ধারা ছিল নেতিবাচক। তবে বাংলাদেশের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থেকেছে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও বৈশ্বিক মন্দার বিষয়টি টের পায়নি বাংলাদেশ।

নিঃসন্দেহে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবময় অধ্যায়। অর্থনীতিবিদদের একটি অংশ মনে করে, উন্নয়নের ধারা এভাবে অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বৃহত্তর ২০টি অর্থনীতির দেশের মধ্যে নিজেদের অবস্থানকে নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। ২০৩৩ সালে অর্থনীতির আকার হবে এক ট্রিলিয়ন ডলার। এদিকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এক ভয়াবহ বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। তারপরও সেই যুদ্ধের কোনো ছায়া পড়েনি বাংলাদেশে। দেশটি তার অবস্থানকে ধরে রেখেছে। আমরা মনে করি, দেশের অর্থনীতির উন্নয়নের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সার্বিক উন্নয়ন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একদিকে এই অর্জন যেমন দেশের মানুষের, বিপরীতে ভোগের অধিকারও তাদের। জীবনমানের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র এক দিন কল্যাণমুখী রাষ্ট্রে পরিণত হবেÑ এটাই আমাদের প্রত্যাশা ও বিশ্বাস।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close