reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০২ আগস্ট, ২০১৯

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রসিকের উদ্যোগকে স্বাগত

কথায় বলে, ‘নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’। প্রবচনটির সত্যতা আছে। আবার ইতি ও নেতি, কমবেশি উভয়ের প্রভাবও আছে। তবে বেশির ভাগ প্রভাব যাবে ইতির পক্ষে। বিষয়টি বর্জ্যরে ভাগাড় নিয়ে। এ যাবত রংপুর সিটি করপোরেশনের কোনো স্থায়ী ভাগাড় ছিল না, যেখানে আবর্জনা সংরক্ষণ করা যেত। এতকাল নগরের যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ পড়ে থাকত। বিশেষ করে মহাসড়ক-সংলগ্ন এলাকায় আবর্জনার স্তূপকে পাহাড়ের মতো পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সম্ভবত এখন আর সেই বিষাক্ত পরিবেশ আর স্তূপকৃত আবর্জনার দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে না সিটি করপোরেশনের মানুষকে। রংপুর নগরীর ২৯নং ওয়ার্ডের কলাবাড়ী এলাকার ১৪ একর বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে স্থায়ী ভাগাড়ের ব্যবস্থা করেছে। জনদুর্ভোগ কমাতে উদ্ধারকৃত জায়গায় বর্জ্য ফেলতে শুরু করেছে রসিক। তবে গতিতে ঘাটতি থাকায় এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি উত্থাপিত হয়েছে, জনবসতি ও পথের পাশে ফেলে রাখা বর্জ্যকে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ভাগাড়ে স্থানান্তর করা হোক।

শুরুতেই বলেছি, ‘নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’। আগে ছিল না, এখন আছে। এতে মহানগরীর বাসিন্দারা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। বর্জ্য ফেলার জন্য অর্ধেকের বেশি অংশজুড়ে খনন করা হয়েছে পুকুর। আগামী ১০ বছর বর্জ্য ফেললেও এ পুকুর ভরাট হবে না বলেই মনে করছেন রসিক কর্মকর্তারা। স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, ২০ বছর ধরে এলাকার প্রভাবশালীদের ভোগদখলে ছিল রসিকের উদ্ধারকৃত এই জমি। এখন তা করপোরেশনের আওতায়। আমরা জানি, কাজটি সহজ নয়। কঠিন এবং জটিল। কিন্তু রসিকের দৃঢ়চেতা মনোভাবের কাছে দুর্বৃত্তরা পরাজিত হয়েছে। এখানে না বললেই নয় যে, রসিক একটি ভালো কাজ করেছে। তবে এ কাজের পেছনে প্রধানমন্ত্রীর ভূমি উদ্ধার প্রশ্নে কঠোর নীতি অবলম্বন করাতে দেশপ্রেমিক মানুষকে সাহস ও উৎসাহ জুগিয়েছে। আমরা মনে করি, এধারা অব্যাহত থাকলে দেশের প্রতি ইঞ্চি দখলকৃত জমি থেকে ভূমিদস্যুদের উৎখাত করা সম্ভব হবে, পাশাপাশি দেশ ও জাতির কল্যাণ বয়ে আনবে। আগামী ১০ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে রসিক। কিন্তু তারপর! এ পরিকল্পনায় তার কোনো রূপরেখা নেই। আমরা মনে করি, রসিককে সে ভাবনা থাকাটাও জরুরি। বিশেষ করে যেখানে স্থায়ী ভাগাড় করা হয়েছে, সেখানকার ও আশপাশের পরিবেশের কথাও মাথায় রাখতে হবে। যদি বর্জ্য ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করা যায়, তা হলে তা হতে পারে স্থায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক একটি প্রচেষ্টা। আপাতত এটুকু বলতেই হয়, সব শহরজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বর্জ্য যন্ত্রণার হাত থেকে পরিবেশ তো হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। এখন দেখতে হবে স্থায়ী আবর্জনার স্তূপ যেন কোনোভাবেই মশা উৎপাদনের ফ্যাক্টরিতে পরিণত না হয়। এমনিতেই দেশ এখন ডেঙ্গুতে ধরাশায়ী। যে রোগের একমাত্র বাহক মশা। সুতরাং সচেতনভাবে এদিকটাও খেয়াল রাখতে হবে। আশা করি, নগরবাসীর সার্বিক কল্যাণে রসিক তা করতে কার্পণ্য করবে না। রসিকের কাছে এটুকু প্রত্যাশা রংপুর নগরবাসীর পক্ষ থেকে আমরা করতেই পারি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close