reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১৯ মার্চ, ২০১৯

বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হোক

রোজায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে। এটি যেন এক চিরন্তন প্রথায় পরিণত হয়েছে, যা থেকে মুক্তি নেই ক্রেতাদের। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের সাধারণ ক্রেতাদের এ মূল্যবৃদ্ধির দায়ভার সবচেয়ে বেশি বহন করতে হয়। রোজা শুরুর আগে বিভিন্ন তরফ থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণের নানা রকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু আদতে এসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয় সামান্যই। কারণ রোজা আসার আগে থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যায়। ব্যবসায়ীদের এই হীন কৌশলের কাছে সব ধরনের তদারকি শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়। এ দৃশ্য আমরা প্রায় প্রতি বছরই দেখি। আশার কথা, এ বছরের রোজা শুরুর আগেই বাজার মনিটরিংয়ে নামবে দেশের চারটি গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক গোয়েন্দা টিম। পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারেন, সে বিষয়টিও কঠোরভাবে নজরদারি করবে এসব টিম।

বাজার মনিটরিং টিমে চারটি গোয়েন্দা সংস্থা ছাড়াও র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত থাকছেন। অবৈধ কোনো পণ্য মজুদের সন্ধান পেলে মজুদকারীর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান হচ্ছে জিরো টলারেন্স। এ ছাড়া অতীতের মতো এ বছরও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গভীরভাবে বাজার পর্যবেক্ষণ করা হবে। নিঃসন্দেহে সাধারণ ক্রেতাদের জন্য এটি একটি শুভসংবাদ। কেননা, মওকা বুঝে ব্যবসায়ীরা এ সময়টাতেই চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। এই অবৈধ পন্থা থেকে ব্যবসায়ীদের নিবৃত্ত করতে হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে রমজান মাস। কিন্তু এরই মধ্যে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। আর এখনই যদি এর লাগাম টেনে ধরা না যায়, তাহলে রোজা আসার আগেই এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নেবে। তাই আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হোক। তাহলে তার ইতিবাচক ফল ক্রেতাসাধারণ ভোগ করবেন। আশার কথা, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি শুধু রমজানে নয়, সারা বছরই যেন দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে, এর জন্য যা যা প্রয়োজন, তা-ই করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া তিনি বলেছেন, কেউ যাতে বাজার অস্থির করতে না পারেন, সে বিষয়েও সরকারের সব সংস্থা একযোগে কাজ করবে। মন্ত্রীর এই ঘোষণায় আমরা স্বস্তিবোধ করছি। বলতে দ্বিধা নেই, অতীতের তুলনায় কয়েক বছরে রোজার সময় ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার যথেষ্ট সফলতার পরিচয় দিয়েছে। আশা করি, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।

তাই রোজা শুরুর আগেই যাতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর কৌশল বাস্তবায়ন করতে না পারেন, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। পাশাপাশি রোজায় বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে পণ্য বিপণন, বাজার মনিটরিং ইত্যাদি পরিকল্পনা যেন শিগগিরই বাস্তবায়িত হয় এটিও নিশ্চিত করতে হবে। পণ্য পরিবহন নির্বিঘœ রাখতে বিশেষ করে কৃষিপণ্যের সরবরাহে যাতে কোনো বাধার সৃষ্টি না হয়, সংশ্লিষ্টদের সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close