reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৭ মে, ২০১৮

বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৬৩

মাদক নির্মূল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৬৩ জন। কার্যক্রম এখনো শেষ হয়নি। আরো কিছুদিন চলবে বলেই আমাদের ধারণা। আর এ সময় আরো কতজন বন্দুকযুদ্ধে মারা যাবে, তা জানা না থাকলেও বলা যায় হতাহতের সংখ্যা বাড়বে। সরকারের এ কর্মসূচির পক্ষে-বিপক্ষে মতভেদ আছে। পাশাপাশি এ বিষয়টিও সত্য মাদকের চাদরে ঢাকা পড়েছে দেশ। এমতাবস্থায় দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য এর চেয়েও কঠোর কর্মসূচি নিয়ে সরকার এগিয়ে আসলেও সাধারণ মানুষ এর বিরুদ্ধাচরণ না করে সমর্থনে দাঁড়াত বলেই অনেকে মনে করেন। আবার এই সমর্থকগোষ্ঠী এটাও মনে করেন যে, বন্দুকযুদ্ধের আওতায় এনে সাধারণ মানুষকে যেন কোনো রকম হয়রানি করা না হয়। আবার এদের একটি অংশ মনে করেন বন্দুকযুদ্ধের নামে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।

মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু মানুষ কী চায়? মাদক নির্মূল বিষয়ে প্রায় শতভাগ মানুষের চাহিদা একটাই- তারা দেখতে চায় মাদকমুক্ত একটি পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ। তাদের মতে, যে পরিচ্ছন্ন অভিযান চালানো হচ্ছে, তাকে ততদিনই সমর্থন করা যাবে যতদিন পরিচ্ছন্নকর্মীরা সততার সঙ্গে তাদের কর্তব্য সম্পাদন করবেন। বিন্দুমাত্র পদচ্যুতি গোটা দেশ ও জাতিকে এক মহাসংকটে নিমজ্জিত করবে। বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে এ কর্মসূচি বহাল রাখলে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে । তাদের ধারণা, চলমান প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পরপরই অথবা একইসঙ্গে শুরু হতে হবে সরবরাহের উৎসমুখ সিলগালা দিয়ে বন্ধ করার কর্মসূচি। উৎস বন্ধ করা না গেলে কিছুদিন নীরবতা পালন শেষে আবার তা মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। এটাই বাস্তবতা। মাদক বিষয়ে বাস্তবতা এখানেই শেষ নয়। অন্য বাস্তবতা হচ্ছে মাদকের শীর্ষ গডফাদাররা আত্মগোপনে গিয়ে নিজেদের রক্ষা করার চেষ্টা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে থাকা তালিকায় টেকনাফের ৬০ গডফাদারের অনেকে ঢাকায় আশ্রয় নিয়েছে। তারা তাদের পৃষ্ঠপোষক শীর্ষ রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘সরকারি সংস্থার তদন্তে যে সব গডফাদার, প্রভাবশালী আশ্রয়দাতা, বিনিয়োগকারী ও পৃষ্ঠপোষকের নাম এসেছে তাদের আইনের আওতায় আনা না গেলে মাদকের মূলোৎপাটন সম্ভব নয়।’ সম্ভব নয় বলেই বাড়তে বাড়তে তা আজ আমাদের ঘরে ঘরে বেডরুমে গিয়ে পৌঁছেছে। মাধকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তথ্য মতে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে শুধু ইয়াবা আটক হয়েছে ৪ কোটি পিস। আগের বছরের তুলনায় ১ কোটি ১০ লাখ পিস বেশি। গত ১০ বছরে এই মাদক কেনা-বেচায় এক উল্লম্ফনের ঘটনা ঘটেছে। এই কেনা-বেচা বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৫০ গুণের মতো।

আমরা মনে করি, মাদক দ্রব্যের সহজলভ্যতাই মাদকাশক্তি বৃদ্ধি অথবা ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ। একে প্রতিহত করা দেশ, জাতি অথবা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। তবে দায়িত্ব পালনকালে মনে রাখতে হবে, একজন ইনোসেন্টও যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist