reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২২ জুন, ২০২২

সুশিক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা

নেপোলিয়ন বলেছিলেন, ‘তুমি আমাকে শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাকে শিক্ষিত জাতি দেব।’ শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষিত সমাজ ব্যতীত জীবনমানের উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আমাদের দেশে শিক্ষার উন্নয়ন ঘটাতে পেরোতে হয়েছে অনেকটা পথ। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে শিক্ষার কালো ঘোর অমানিশা, অন্ধকার কেটে এসেছে আলোর পথযাত্রা। শিক্ষা, সুশিক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কী ভাবছেন স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তাদের মন্তব্য তুলে ধরেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ

শিক্ষাব্যবস্থায় বৈষম্য দূর হোক

শিক্ষাই জাতি ও রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ। শিক্ষা ছাড়া জাতির অগ্রগতি কল্পনামাত্র। একটি জাতির উন্নতি, অগ্রগতি শিক্ষার ওপর নির্ভর করে। যে জাতি যত বেশি , সেই জাতি তত বেশি উন্নত। মায়ের মুখ থেকে অ আ শিখা থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি শিক্ষার বিকল্প নেই। আমাদের পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক জীবন সবক্ষেত্রে শিক্ষা আমাদের অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষার ওপর অনেকেই আঘাত করেছে, নানাভাবে নির্যাতন বৈষম্য করেছে। আমাদের ভাষার ওপর আঘাত হেনেছে, শিক্ষার ওপর আঘাত হেনেছে, আমাদের অধিকারের ওপর আঘাত হেনেছে। অতঃপর ১৯৭১ সালে নয় মাস যুদ্ধ করে পেয়েছি স্বাধীন দেশ। ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও শিক্ষাক্ষেত্রে যুগোপযোগী পরিবর্তন আসেনি। আজকের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে এখনো বাংলাদেশে মৌলিক কোনো শিক্ষানীতি চালু নেই। বহুবিধ ধারায় শিক্ষানীতি চলছে এ দেশে। সুস্থ জাতি গড়ে তোলার জন্য যে শিক্ষা প্রয়োজন। তা নেই বললেই চলে। প্রযুক্তির যুগে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নৈতিক, মানবিক জাতি গঠনে সহায়ক এমন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে। যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। একটি বৈষম্যহীন বহুমুখী শিক্ষানীতি প্রণয়ন জরুরি। তবেই যারা শিক্ষার জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের জীবন সার্থক হবে।

জান্নাতুল ফেরদৌস জীম

শিক্ষার্থী, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ

কবি নজরুল সরকারি কলেজ

সাক্ষরতার হার বনাম সুশিক্ষার হার

ছোট্ট একটি ‘স্ব’ যার অর্থ হলো নিজের, স্বকীয় ইত্যাদি আর সাক্ষরতা শব্দের অর্থ হলো নিজের নাম নিজে লেখা। অর্থাৎ সাধারণভাবে যেসব ব্যক্তি নিজের নাম নিজে লিখতে পারে তারাই সাক্ষরতার মধ্যে পড়ে। তবে ভালো বাংলায় বলা হয় যারা লিখতে জানে এবং পড়তে জানে তাদের সংখ্যার অনুপাতকে সাক্ষরতার হার বলে। বাংলাদেশের বিগত কয়েক দশকের তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, হু হু করেই এই ^সাক্ষরতার হার বেড়ে চলেছে। একটি দেশের মেরুদন্ড হলো শিক্ষাব্যবস্থা। ঠিক যেমন একজন মানুষ তার মেরুদণ্ড ছাড়া সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে, একটি নৌকা মাঝি ছাড়া নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে না; তেমন করে একটি জাতিও শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়া উন্নতির শিখরে যেতে পারে না। বৈশ্বিক বিভীষিকাময় করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থা স্থবির হয়ে ছিল। তবে ইতোমধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সব ব্যর্থতা ও অসুস্থতা জয় করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। দীর্ঘ ছুটির মধ্যে থেকেও বাংলাদেশ কিন্তু সাক্ষরতার দিক দিয়ে পিছিনে নেই। সাক্ষরতার হার বাড়লেও সুশিক্ষার হার চরম অভাবে। এ ক্ষেত্রে সাক্ষরতার পাশাপাশি সুশিক্ষার দিকেও নজর রাখতে হবে।

ফারজানা জীবন

শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার আলোয় আলোকিত হোক

শিক্ষা ছাড়া কোনো কিছুরই উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন ঘটাতে চাইলে জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীনতার আগে শিক্ষা খাতে পূর্ব পাকিস্তানের লোকদের জন্য খুবই কম অর্থ বরাদ্দ করা হতো। আবার বেশির ভাগ অর্থ চলে যেত পশ্চিম পাকিস্তানে। সেই সূচনা থেকেই এ দেশের মানুষজন বুঝতে পারে তাদের শিক্ষাব্যবস্থা দুর্বল এবং জনগোষ্ঠীকে অশিক্ষিত করার জন্যই পশ্চিমাদের এই ষড়যন্ত্র। একটি দেশ বা রাষ্ট্রের উন্নয়ন ঘটাতে চাইলে অবশ্যই শিক্ষা খাতে নজর দিতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষকদের মানসম্মত বেতনের ব্যবস্থা করা, অবকাঠামোগত উন্নয়নে তাদের ভূমিকাকে জনগণকে উপলব্ধি করতে সহায়তা করা, অধিক মেধাবী, পরিশ্রমী, নৈতিকতাসম্পন্ন, তথ্যপ্রযুক্তিতে-সমৃদ্ধ শিক্ষক নিয়োগ দিলেই জাতির অধঃপতন থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। নৈতিকতা শিক্ষার পাশাপাশি চর্চার যথাযথ ব্যবস্থা করা সংশ্লিষ্ট সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য। বাংলাদেশ শিক্ষাব্যবস্থায় সরকারের উচিত প্রতিটি গ্রামে স্কুল-কলেজ স্থাপন করা এবং অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশু-কিশোররা তাদের এই মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। আর তবেই আমাদের শিক্ষিত জাতিরা দেশ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে কাজ করে আমাদের দেশকে আরো সমৃদ্ধশালী করতে পারবে।

রোকরাইয়া মেহেনুর মামিয়া

শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান জরুরি

দেশের শিক্ষিত শ্রেণি যেন আজ অবহেলিত, তাদের কোনো অধিকার নেই বেঁচে থাকার। তাইতো আত্মহত্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সঙ্গে বেকার সমস্যাও যে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে; সেটাও কিন্তু দেশের শিক্ষিত শ্রেণি বুঝতে পারছে। কারণ শিক্ষিতদের শতকরা ৬৬ শতাংশ আজ বেকার। যেখানে একজন শিক্ষার্থীর ভাবনা থাকে পড়াশোনা শেষ করে সে তার অর্জিত জ্ঞান দিয়ে দেশের সেবা করবে, সেখানে তারা আজ বঞ্চিত হচ্ছেন। বেকার নামক অভিশাপ থেকে আমাদের সমাজকে মুক্তি দিতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন এনে বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রসার ঘটানো অবশ্যই জরুরি। সুস্থ জাতি গড়ে তুলতে হলে শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে নিজস্ব জাতীয় বাস্তবতা মিলিয়ে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। করতে হবে গণমুখী শিক্ষানীতি, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। তাহলেই বাস্তবায়িত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। অন্যথায় নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সেশনজট দূরীকরণ করতে না পারলে অনেকের চাকরির বয়স পার হয়ে যাবে। সেশনজট দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। সুন্দর জীবন কাঠামো সাজাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

রবিন আহমেদ রাজিন

শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

শিক্ষার গুণগতমান পরিবর্তন জরুরি

একটি জাতি বিনির্মাণে শিক্ষা অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থা যেকোনো জাতিকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এক সময়কার বটতলার শিক্ষাব্যবস্থা সময়ের আবর্তনে ডিজিটাল রূপ ধারণ করলেও গুণগতমানে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। আমাদের উন্নয়নশীল দেশকে উন্নত দেশের কাতারে দাঁড় করাতে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। সময়োপযোগী শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান, কারিকুলাম পুনর্বিন্যাসে আরো জোর দেওয়া প্রয়োজন। করোনাকালে শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক ও নেতিবাচক যেসব অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়েছে তার আলোকে প্রচলিত গতানুগতিক শিক্ষা কর্মসূচি থেকে সরে আসতে হবে, যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা নতুন বিশ্বে পারদর্শিতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারে। তবে একসময় আমাদের দেশে শিক্ষার উন্নয়ন বলতে শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাঠামোগত উন্নয়ন বোঝানো হতো। কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের

নানাবিধ উন্নয়ন কার্যক্রমে আমরা এ ধারণা থেকে এখন বেরিয়ে এসেছি। সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত। পাশাপাশি শিক্ষার গুণগতমান পরিবর্তনে সমন্বিতভাবে সবার এগিয়ে আসা জরুরি।

শিরিন সুলতানা

শিক্ষার্থী, ফিন্যান্স বিভাগ

ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ, গাজীপুর

সুশিক্ষা নিশ্চিত হোক

শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীর পরিবেশ থেকে শুরু করে সমাজ, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সাহিত্য ইত্যাদি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ করে দেয়। শিক্ষা মানুষকে সংবেদনশীল, নৈতিক গুণাবলির অধিকারী, সৃষ্টিশীল এবং আরো বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত করে তোলে। তবে এর জন্য থাকা চাই সুশিক্ষা। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরও আমরা কতটুকু বৈষম্যহীন শিক্ষানীতি বা সুশিক্ষা পেয়েছি, তা নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন থেকেই যায়। বর্তমান সরকারের যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এনে দিলেও শিক্ষকরা করে ক্লাস বর্জন আর শিক্ষার্থীদের করে মিটিং, মিছিল আর আন্দোলন। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন রাষ্ট্রের অঙ্গীকারই ছিল গণমুখী শিক্ষাব্যবস্থা, সর্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা, এমনকি বিজ্ঞানভিত্তিক ও বৈষম্যহীন শিক্ষাব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা। একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য ও সুশিক্ষা নিশ্চিতের জন্য দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো যুগোপযোগী করা একান্ত অপরিহার্য। বর্তমান শিক্ষক সমাজকে বৈষম্যহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় সব বৈষম্য দূর করতে হবে, তবেই সুশিক্ষা নিশ্চিত হবে।

বিথী রানী মন্ডল

শিক্ষার্থী, নাট্যকলা বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

সুশিক্ষাই আলোকিত মানুষের জন্মদাতা

সুশিক্ষা হলো সেই শিক্ষা, যা মানুষের বিবেক নৈতিকতার পথে ধাবিত করে। মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে সমাজেও সেই মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটাতে ভূমিকা পালন করে এবং আরো প্রকৃত মানুষ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষা ব্যক্তিকে কোনদিকে চালিত করবে, সেটা নির্ভর করে শিক্ষাগ্রহণকারী ব্যক্তি ভবিষ্যতে তার জীবনে শিক্ষার প্রয়োগ কীভাবে করছে, তার ওপর। তাই বলা হয়েছে, সুশিক্ষিত লোকমাত্রই স্বশিক্ষিত। একজন সুশিক্ষিত মানুষের সার্টিফিকেট অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে মানবিক, নৈতিক, আবেগিক গুণ অর্জন করা, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়া এবং উদ্বুদ্ধ করা ইত্যাদি আরো এ রকম মানবিক গুণাবলি অর্জন করা প্রয়োজন। আমরা জীবনের শুরু থেকে দুভাবে শিক্ষা লাভ করে থাকি। এক ধরনের শিক্ষা, যা আমাদের জীবনব্যাপী বিদ্যমান থাকে এবং সর্বক্ষেত্রেই সহায়ক হয় সেই শিক্ষা। আর অন্যটি হলো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। যা স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শুরু হয় এবং নির্দিষ্ট সময়ে শেষও হয়। আমাদের প্রয়োজন স্বশিক্ষিত মানুষ। শিক্ষা ও স্বশিক্ষিত মানুষের এই পার্থক্য সেদিনই দূর হবে, যখন সবাই সুশিক্ষিত হয়ে গড়ে উঠবে।

পাপড়ি রাণী

শিক্ষার্থী, নৃবিজ্ঞান বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়াতে হবে

বিগত দুই দশকে শিক্ষাব্যবস্থায় আমাদের যে অগ্রযাত্রা, তা সমুন্নত রাখতে এবং করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখনই একটি শিক্ষা পুনরুদ্ধার কার্যক্রম হাতে নেওয়া প্রয়োজন। করোনার সরাসরি প্রভাবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রেণিকক্ষ-ভিত্তিক শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। সরকার এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য টেলিভিশন, রেডিও, মোবাইলফোন ও ইন্টারনেট-ভিত্তিক শিক্ষা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও এ মাধ্যমে এখনো সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এ বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ কমপক্ষে দুই-তিন বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে এবং বিশেষ পরিকল্পনায় পাঠদান, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া, শিক্ষক ও অভিভাবকদের আশ্বস্ত করা, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো বাদ দেওয়া এবং পাঠদানের রুটিন সমন্বয় করা প্রয়োজন। এজন্য শিক্ষা খাতে জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শিক্ষার জন্য বরাদ্দ দেওয়া উচিত। পাশাপাশি বাজেট ব্যবস্থাপনায় অর্থব্যয়ের সক্ষমতা বাড়ানো এবং অর্থের ব্যবহারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

আবু সুফিয়ান সরকার শুভ

শিক্ষার্থী, সমাজকর্ম বিভাগ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close