আন্তর্জাতিক ডেস্ক
‘মানু নয়, মিস্টার প্রেসিডেন্ট’
‘কা ভা মানু’ তর্জমা করলে ‘কেমন আছ হে মানু’। সেলফি তুলতে তুলতে এমনটাই বলেছিল প্রথমজন। বয়স কত হবে ১৬। যাকে বলেছিলেন তার বয়স ৪০। প্রথম জন স্কুলপড়ুয়া। দ্বিতীয় জন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। তাকে ডাক নামে সম্বোধন করায় চটে যান ম্যাঁক্রো। খানিক ধমকের সুরেই ওই পড়ুয়াকে বেশ কিছু কথা বলেন ম্যাঁক্রো। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। অধিকাংশই ম্যাঁক্রোকে সমর্থন করলেও কেউ কেউ বলেন, প্রেসিডেন্টের উচিত ছিল, পড়ুয়াকে আরো সুন্দরভাবে কথাগুলো বলা। অনুষ্ঠানে এসে কচি-কাঁচাদের সঙ্গে গল্প করছিলেন ম্যাঁক্রো। ছিলেন খোশমেজাজেই। হঠাৎই ওই পড়ুয়া তাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেমন আছেন তিনি। কিন্তু সেই ভঙ্গিটি সম্মানজনক ছিল না। ম্যাঁক্রোকে ‘মানু’ বলায় তিনি অত্যন্ত বিরক্ত হন। একটু ক্ষেপে গিয়েই বলে ফেলেন, ‘না। একেবারেই না। কোনো ডাকনামে নয়। আমাকে স্যার বা মিস্টার প্রেসিডেন্ট বলে ডাকতে পার।’ ম্যাঁক্রোর কথাতেই মুখ লাল হয়ে যায় ওই তরুণের। সে বলে, ‘সরি মিস্টার প্রেসিডেন্ট’। কিন্তু এতেই থেমে থাকেননি ম্যাঁক্রো। এরপর পড়ুয়াকে একটু বকাঝকাই করেন তিনি। বলেন, ‘তুমি একটা অনুষ্ঠানে এসেছে। গুনগুন গান গাইছ। তাও ফ্রান্সের মুক্তির গান। কিভাবে দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এভাবে কথা বলতে পার? অবশ্যই আমাকে ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ বলে ডাকতে হবে। ম্যাঁক্রো ওই পড়ুয়াকে বলেন, সমাজতন্ত্রের গান ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল’ যে গাইছে, তাকে সবকিছু সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে। ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করতে হবে। বিপ্লব শুরুর দিন থেকেই পড়াশোনাটাও খুব জরুরি। এর আগেও বেফাঁস মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন ম্যাঁক্রো।
"