আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গাঁজা বৈধ করার পথে কানাডা
বিনোদনমূলক কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ করার পথে অনেকদূর এগিয়ে গেল কানাডা। ছয় মাস পর্যালোচনার পর গত বৃহস্পতিবার দেশটির সিনেট গাঁজা বৈধ করার ক্ষেত্রে সব ধরনের আইনি বাধা সরিয়ে নিয়েছে।
উচ্চকক্ষ সিনেটে ৫৬-৩০ ভোটে জয়লাভ করার পর ‘ক্যানাবিস অ্যাক্ট’টি নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে পাঠানো হয়েছে। সিনেটরদের দেওয়া বিভিন্ন সংশোধনী আইনটির সঙ্গে যুক্ত হবে কি না, পার্লামেন্ট সদস্যরা সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। সিনেটের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। চলতি গ্রীষ্মের মধ্যেই গাঁজা বৈধ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আইনে পরিণত হলে, জি-৭ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে কানাডাই হবে গাঁজাকে বৈধতা দেওয়া প্রথম শিল্পোন্নত দেশ। গাঁজা বৈধ করা নিয়ে দেশটির আদিবাসী সিনেটরদের দুশ্চিন্তা ছিল। সেগুলো দূর করতে বুধবার ট্রুডো সরকার আদিবাসীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশ ও আসক্তদের জন্য আরও ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করলে সিনেট ভোটে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের অনিশ্চয়তা কেটে যায়। ২০০১ সাল থেকেই কানাডায় চিকিৎসার কাজে গাঁজার ব্যবহার বৈধ। সিনেটের প্রস্তাবিত ‘ক্যানাবিস অ্যাক্টটি’ আইনে পরিণত হলে এরপর বিনোদনমূলক কাজেও অল্প পরিমাণ গাঁজা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে।
পুরোপুরিভাবে আইনে পরিণত না হলে বৈধ উপায়ে গাঁজা কিনতে পারবেন না কানাডীয় নাগরিকরা। এজন্য তাদের ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে বলেও ধারণা বিবিসির। এ সময়ের মধ্যেই খুচরা ও পাইকারি বাজারে গাঁজা কীভাবে বিক্রি হবে, জনসমক্ষে খাওয়া যাবে কি না, প্রদেশ এবং বিভিন্ন অঞ্চল এ বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেবে।
"