আন্তর্জাতিক ডেস্ক
হন্ডুরাসে বিতর্কিত নির্বাচনের ফল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ
হন্ডুরাসে গত বছরের বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল নিয়ে দাঙ্গা পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। দেশজুড়ে হওয়া বিক্ষোভ দমনে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে। বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বসানো অবরোধও সরানো হয়েছে। গত শনিবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর সাবায় নিহতের ঘটনা ঘটে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা দেশজুড়ে এ প্রতিবাদ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল। ডিসেম্বরে কয়েকদিন ধরে চলা প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যেই ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হুয়ান অরলান্ডো হার্নান্দেজকে নির্বাচনে জয়ী ঘোষণা করা হয়। গত শনিবার রাজধানী তেগুচিগালপার ২১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব শহর সাবার রাস্তা অবরোধ করে বসে থাকা বিক্ষোভকারীদের সরাতে পুলিশ গুলি ছুড়লে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত ও আরেকজন আহত হন বলে স্থানীয় এক এনজিওর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে। দেশটিতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা চলছে। ব্যালট গণনার জন্য ঠিক করা ইলেকটরাল ট্রাইব্যুনাল নিয়ে বিরোধী নেতা সালভাদর নাসরাল্লা তার গভীর সন্দেহের কথা জানিয়েছেন। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট হার্নান্দেজের দলের নিয়ন্ত্রণে থাকা পার্লামেন্ট ওই ট্রাইব্যুনাল নিয়োগ দিয়েছিল বলেই ফল নিয়ে সন্দেহ তার। ফল গণনার শুরুর দিকে নাসরাল্লাই এগিয়ে ছিলেন। যদিও পরের দিকে হার্নান্দেজ এগিয়ে যান, এবং শেষ পর্যন্ত গণনাকৃত ফলে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের পক্ষেই পাল্লা ভারী দেখা যায়। নাসরাল্লার অভিযোগ, নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ ফলে কারচুপি করেছে। ভোটের ফল নিয়ে এই পাল্টাপাল্টির মধ্যেই ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধীপক্ষের সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসে। এরপর দেশজুড়ে হওয়া সংঘর্ষে ১৪ জনের মতো নিহত হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি দাবি করলেও পুলিশ বলছে, নিহতের সংখ্যা মাত্র তিন।
২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ৪৯ বছর বয়সী হার্নান্দেজ হন্ডুরাসের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্টের পরবর্তী নির্বাচনে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট বাধা তুলে নিলে হার্নান্দেজ গত বছরের নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
"