আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মালাক্কায় ভাসমান মসজিদ
মালাক্কা প্রণালি। ছাত্রজীবনে ভূগোল বইয়ে এ স্থান সম্পর্কে কিছু লেখাপড়া কমবেশি সবাইকেই করতে হয়েছে। মালাক্কা প্রণালি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মালয় উপদ্বীপ এবং ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত একটি সংকীর্ণ সমুদ্র প্রণালি।
বলা হয়, মালয়েশিয়ার বিচিত্র বর্ণময় ইতিহাসের একটা বড় অংশ রয়েছে মালাক্কা ঘিরে। আর মালয়েশিয়ায় ইসলামের প্রচার-প্রসার ঘটেছে মালাক্কা দিয়ে। মালাক্কা মালয়েশিয়ার তৃতীয় ক্ষুদ্রতম একটি রাজ্য এবং ইউনেসকো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত। তাই মালাক্কাকে বলা হয় মালয়েশিয়ার ইতিহাসের শহর।
ঐতিহ্যের এ শহরের আসল নাম মেলাকা হলেও সবাই মালাক্কা নামেই চেনেন। কুয়ালালামপুর থেকে বাসে মালাক্কা যেতে সময় লাগে ২ ঘণ্টার মতো, আর গ্র্যাব সার্ভিসের গাড়ি নিয়ে গেলে সময় আরেকটু কম লাগে।
মালাক্কায় হাঁটা দূরত্বের মধ্যে ঘুরে দেখার জন্য বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও আকর্ষণীয় জায়গা রয়েছে। এসব জায়গার অন্যতম হলো মালাক্কা সুলতানের বাড়ি, হেরিটেজ মিউজিয়াম, সেন্ট পল চার্চ, মালাক্কা ডাচ স্কয়ার, স্কাই টাওয়ার, মালয়েশিয়া মুসলিম মিউজিয়াম, স্থাপত্য মিউজিয়াম ও মসজিদে ট্রানকুরাহ ইত্যাদি।
মালাক্কার আরেকটি বিখ্যাত স্থাপনার নাম ‘মসজিদ সালাহ মালাকা’। মসজিদটি সমুদ্রপাড়ে অবস্থিত। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, মসজিদটি যেন পানিতে ভাসছে। প্রাচীন স্থাপত্যের নকশার অনুকরণে মসজিদটি নির্মিত। ২০০৬ সালের ২৪ নভেম্বর মসজিদটি নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়। মসজিদসংলগ্ন বিশাল উঁচু মিনার, সুপরিসর বাগান, পার্কিং ও সামনের খোলা জায়গাজুড়ে দেখা মেলে পর্যটকদের। সুসজ্জিত মসজিদে রয়েছে নারীদের আলাদা নামাজের জায়গা। মসজিদের বিশাল কাঠের মিম্বর ও বড় সাইজের সিলিং ফ্যান এ মসজিদের বিশেষত্ব।
আসরের নামাজের আগমুহূর্তে মসজিদটি ঘুরে দেখা গেল, বিভিন্ন বয়সী দশনার্থীরা মসজিদটি ঘুরে ঘুরে দেখছেন, ছবি তুলছেন। কেউ কেউ নামাজ পড়ছেন। মসজিদে রয়েছে শিশুদের আনন্দের সঙ্গে কোরআন শেখানোর ব্যবস্থা। আলাদা স্থানে, আরবি হরফগুলোকে বিভিন্ন ছবি ও নকশার মাধ্যমে শেখানো হয়।
"