নিজস্ব প্রতিবেদক

  ৩০ মার্চ, ২০২৪

এমভি আবদুল্লাহ

নাবিকদের জন্য দুম্বা আনছে দস্যুরা

জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকদের খাওয়ার জন্য তীর থেকে দুম্বা আনছে সোমালীয় জলদস্যুরা। তাই খাবার নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই নাবিকদের। তবে কিছুটা দুশ্চিন্তা রয়েছে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়ায়। এসব তথ্য জানিয়েছেন জিম্মি জাহাজে থাকা বাংলাদেশি নাবিকরা।

ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ ২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালীয় দস্যুরা। পরে জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায় তারা। চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা আছে।

এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করার সময় নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ছিল জাহাজটিতে। জিম্মিদশার কেটে গেছে ১৮ দিন। এতদিনে নাবিকরা কেমন আছেন, ঠিকমতো খাবার পাচ্ছেন কিনা, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে দুশ্চিন্তা। তবে জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বলেছে খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই।

জিম্মি জাহাজে থাকা নাবিকদের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছেন জানিয়ে নাবিক সংগঠনের একনেতা বলেন, খাবার নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা নেই। নাবিকরা জানিয়েছে, জলদস্যুরা জাহাজে খাওয়ার জন্য দুম্বা ও ছাগল আনছে। তবে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ, জলদস্যুরা বিশুদ্ধ পানি আনতে পারছে না। এতে জাহাজে যা বিশুদ্ধ পানি আছে, তা রেশনিং করে চলতে হচ্ছে। সংকটের কারণে এখন সপ্তাহে দুই দিন এক ঘণ্টা করে জাহাজের বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকরা। অর্থাৎ সপ্তাহে মাত্র দুই ঘণ্টা বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছেন তারা।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, সাধারণত জাহাজে হিমায়িত ও শুকনো- দুই ধরনের খাবার থাকে। যাত্রাপথে কত দিন সময় লাগবে, তার ওপর নির্ভর করে জাহাজে খাবার রাখা হয়। তবে শুকনো খাবার অনেক দিনের জন্য মজুত থাকে। জাহাজ জিম্মি করলে জলদস্যুরা সাধারণত খাবার সরবরাহ করে। তবে সুপেয় পানি নিয়ে সমস্যা হয়। সে ক্ষেত্রে রেশনিং করে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়।

এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল। এই পানি দিয়ে এক মাস পর্যন্ত চালানো যাবে বলে তখন নাবিকরা জানিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, তবে রেশনিং করলে অনেক দিন চালানো যাবে। পানি বাঁচাতে এখন শুধু রান্না ও খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন নাবিকরা।

জাহাজের মালিকপক্ষ চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, খাবার নিয়ে আশা করি সমস্যা হবে না। নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে তিনি বলেন, আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। আমাদের চেষ্টা হলো যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের ফিরিয়ে আনা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close