বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

  ২৫ মার্চ, ২০২৪

ঈদবাজারের ব্যস্ততা এখন দর্জিপাড়ায়

যশোরের বেনাপোল

রেডিমেট পোশাকের এই যুগেও যশোরের শার্শা-বেনাপোল বাজারে বানানো পোশাকের আবেদন এতটুকু কমেনি। ব্যস্ত নগর জীবনে সারা বছর রেডিমেড পোশাক কিনে সময় বাঁচাতে চাইলেও, ঈদ এলে প্রয়োজন পড়ে বাড়তি প্রস্তুতির। তাই উৎসবপ্রেমী মানুষের একটি বড় অংশ নির্ভর দর্জিপাড়ায়, সেখানে রুচি অনুযায়ী তৈরি করে নেন পছন্দের পোশাক। ঈদের বাকি আর ২০ দিন। এ মুহূর্তে শার্শা-বেনাপোল বাজারের সবগুলো টেইলার্সে চলছে পোশাক বানানোর ব্যস্ততা।

এদিকে দুই বছর পরপর বাড়ানোর নিয়ম পোশাকে মজুরি বাড়ানো হয়নি বলে জানান বেনাপোল পোশাক তৈরি ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা। সর্বশেষ ২০২৩ সালে মজুরি তালিকা করা হয়েছে।

ঈদের আর আড়াই সপ্তাহ বাকি, এরই মধ্যে পছন্দের পোশাক বানাতে ভিড় বাড়ছে। উৎসবপ্রেমীরা বিভিন্ন ধরনের গজ কাপড় ও আনস্টিচ কাপড় নিয়ে থ্রি-পিস, টু-পিস, গাউন, লেহেঙ্গাসহ বিভিন ধরনের পোশাকের ফরমায়েশ দিচ্ছেন। আর সেসব পোশাক তৈরিতে সকাল-বিকেল থেকে রাত অবধি ব্যস্ততা চলছে দর্জিবাড়িতে। কাপড়ের মাপ নিতে, কাপড় কাটতে ও সেলাই করতে, এমব্রয়ডারি ও ট্রায়াল দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন দর্জিবাড়ির কারিগররা। সকাল ৯টার পর থেকেই কাজ শুরু হচ্ছে শার্শা-বেনাপোল বাজারের বিভিন্ন প্রান্তের টেইলার্সগুলোয়। কাজ চলছে রাত ১২টা অবধি। এ সময়সীমা আরো বাড়ানো হবে বলে জানান বাজারে বিভিন্ন টেইলার্সের দর্জিরা।

বিভিন্ন পোশাক তৈরির মজুরি নেওয়া হচ্ছে মেয়েদের সুতির সালোয়ার কামিজ ২৫০ টাকা ও সিনথেটিক সালোয়ার কামিজ ৪৫০ থেকে ৭০০ টাকা। শুধু সালোয়ার ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। চুড়িদার ২০০ থেকে ২৫০, ধুতি সালোয়ার ৩০০, প্যান্ট কাটিং পায়জামা ২৫০ থেকে ৩০০, সেমিজ ১০০ থেকে ১৫০ প্লেন ব্লাউজ ১৫০, ডিজাইন ব্লাউজ ৩০০ থেকে ৪০০, পেটিকোট ১০০, বিভিন্ন ধরনের বোরকা ৩৫০ থেকে ৭৫০, প্লেন ফ্রক সুতি ৩২০, প্লেন গাউন ফ্রক সুতি ৪৫০, প্লেন গাউন ফ্রক দুই পার্ট ৭৫০, মৌচাক ফ্রক ৮০০ থেকে ১ হাজার ৬০০, আনারকলি ৬৫০ থেকে ১ হাজার ২০০, জিপসি ও পাখি ড্রেস ৬৫০ থেকে ১ হাজার ২৫০, লেহেঙ্গা ৬০০ থেকে ১ হাজার ৩৫০, শাড়ির পাড় ও শাড়ির ফলস ২০০, পুরুষদের পাঞ্জাবি ৩৫০ থেকে ৫০০ সাধারণ জুব্বা ৫৫০, সৌদি জুব্বা ৭০০, কাবলি সেট ১ হাজার ১০০, শার্ট ৩০০, ডিজাইন শার্ট ৪০০, ফতুয়া ৩০০, প্যান্ট ৪০০, জিন্স প্যান্ট ৫০০, সাফারি সেট ২ হাজার টাকা। বিভিন্ন ধরনের কোটের মজুরি ১ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে।

বেনাপোল বাজার রোডের হিরা মার্কেটের মনির ক্লথ অ্যান্ড টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী শাহাবুদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, শবেবরাতের পর থেকেই অর্ডার আসছে। তবে অন্যবারের তুলনায় এবারে একটু কম। সামনের রোজাগুলোয় আরো বেশি আশা করছি। সাইদুর টেইলার্সের সাইদুর রহমান বলেন, সকাল ৯টার পরে দোকান খুলছি, রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। আগামীতে সময় আরো বাড়ানো হবে। একই কথা জানান লাল মিয়া সুপার মার্কেটের বাবু টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী জাফর ইকবাল (বাবু)।

বেনাপোল বাজার পোশাক তৈরি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক মো. খোকন বলেন, সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যখন খরচ বেড়েছে, তখন আমরা কিন্তু এখনো পোশাকের মজুরি বাড়াইনি। দুই বছর পরপর আমরা একটি করে মজুরি তালিকা করি। এখনো সে অনুযায়ীই মজুরি নেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ দোকানেই মজুরি তালিকা আছে। তাই নির্ধারিত মজুরির বাইরে বাড়তি মজুরি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close