নিজস্ব প্রতিবেদক

  ০৮ মার্চ, ২০২৪

কাল থেকে ফের উৎপাদন এস আলমের চিনি

এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের চিনির গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, আগামীকাল শনিবার থেকে চিনি পরিশোধন করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় এস আলম গ্রুপ।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দুর্ভাগ্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। গত ৪ মার্চ বিকেলে ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনা ঘটে। সরকারের উচ্চমহল, ফায়ার সার্ভিস, নৌ ও বিমানবাহিনীসহ মিলের কর্মচারী ও প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রায় ৬৪ ঘণ্টা পর গুদামের আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে। আগামীকাল শনিবার থেকে যেন আবারও চিনি উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করা যায়, তাই মিল পরিষ্কারের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, অগ্নিকাণ্ডের ফলে আগুনে পুড়ে গেছে এক লাখ টনের মতো অপরিশোধিত চিনি। সৌভাগ্যবশত আশপাশেই অবস্থিত চিনির অন্য ৩-৪টি গুদাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আগামী ১০-১২ দিনের পরিশোধিত চিনি প্রস্তুত রয়েছে, যা ভোক্তাদের জন্য বাজারের সরবরাহ নিশ্চিত করবে। তা ছাড়া শনিবার থেকে আবারও চিনি পরিশোধন কার্যক্রম শুরু হলে তা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।

এস আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে এরই মধ্যে পরিশোধিত থাকা চিনির মজুদ থেকে বাজারে সরবরাহ শুরু হচ্ছে। আগামীকাল শনিবার থেকে মূল কারখানায় উৎপাদন শুরু করা হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এই অগ্নিদুর্যোগের কোনো প্রভাব যেন বাজারে না পড়ে।’

তিনি আরো বলেন, ‘পুড়ে যাওয়া গুদামটিতে এক লাখ টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। বাকি গুদামগুলোয় বর্তমানে ৬ লাখ ৪১ হাজার টন চিনির কাঁচামাল রয়েছে।’

প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে প্রয়োজন অনুযায়ী সব ধরনের ফায়ার ইকুইপমেন্ট ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ছিল। তবে আগুনের ভয়াবহতা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় তা তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দেশের সুগার মিলে সবচেয়ে বড় এ অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে এরই মধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এটি নাশকতার ঘটনা কি না, তাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে কল-কারখানা অধিদপ্তর।

প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবেশ দূষণ এড়াতে- গলিত চিনি এস আলম গ্রুপের নিজস্ব খালি জায়গায় সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। প্রায় ৩০টি ডাম্প ট্রাক দিয়ে গলিত র-সুগার ডাম্পিং করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে হচ্ছে যাতে র-সুগার নদীতে না পড়ে। এছাড়া গুদামের দেয়াল ধসে পড়ার আশঙ্কায় দেওয়া হয়েছে বালুর বাঁধ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছিল সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close