নিজস্ব প্রতিবেদক
মেঝেতে রোগী ঠাণ্ডায় নাজুক
মিটফোর্ড হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ওই হাসপাতালে আর কোনো শয্যা খালি নেই। পাটি, কাঁথা-বালিশ আর কম্বল নিয়ে অনেকেই বিছানা পেতেছেন বারান্দা, করিডোর; এমনকি সিঁড়িতে। এসব রোগীর বেশিরভাগই শিশু আর বয়স্ক। হাসপাতালের মেঝেতে কিংবা বারান্দায় যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের অবস্থা নাজুক, এসব রোগীর অধিকাংশ শিশু ও বয়স্ক। তারা বলেছেন, ঠাণ্ডায় হাড়ে কাঁপুনি ধরে যায়।
হাসপাতালের এক নম্বর ভবনের চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় দেখা যায়, শীতের মধ্যে কাঁথা-বালিশ আর কম্বল নিয়ে সিঁড়িতেই বিছানা পেতেছেন কয়েকজন রোগী। একজন রোগী বলেন, ‘ভেতরে জায়গা না থাকায় আমাদের বাইরে থাকতে বলা হয়েছে। বেড খালি হলে তারা ডেকে নেবে বলেছে। এভাবে শীতের মধ্যে ঠাণ্ডা বাতাসে কী বাইরে থাকা যায় বলেন?’
এ ব্যাপারে হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘এ শীতে নবজাতক ও শিশুরা ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। ব্রঙ্কিওলাইটিস ভাইরাস সংক্রমিত শ্বাসযন্ত্রের রোগ এবং এর প্রধান চিকিৎসা হচ্ছে রোগীকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া। এটা বাড়িতে সম্ভব নয়। তাই অভিভাবকদের উচিত শিশুদের শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসা।’ ভর্তি হওয়া শিশুদের দুই-তৃতীয়াংশই ঠাণ্ডাজনিত রোগে ভুগছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ সময়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। যদি বাচ্চারা দ্রুত শ্বাস নেয় এবং যদি তারা শ্বাস নিতে অস্বস্তি অনুভব করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঢাকার তাপমাত্রার পারদ নেমেছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। ঢাকাসহ সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ ড. মো. আবুল কালাম মল্লিক জানান, গত সোমবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৯৫ সালের ৩ জানুয়ারি তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে।
"