জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ-ছাতক সেতু
তিন বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ
কাজ ফেলে চলে গেছেন ঠিকাদার * ভোগান্তিতে দুই উপজেলার মানুষ
সুনামগঞ্জ-ছাতক সড়কের একটি সেতু ২০২০ সালের বন্যায় ধসে যায়। সেতুটি পুনঃনির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে দরপত্র আহ্বান করে কাজ শুরু হয়। এর কিছুদিন পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যায়। দ্বিতীয়বার দরপত্র আহ্বান করার পর ঠিকাদার আবারও কাজ রেখেই চলে যায়। সেতুর নির্মাণকাজ থমকে আছে। এভাবে সেতু ধসে যাওয়ার ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও সেতুর কাজ হয়নি। এতে ভোগান্তিতে রয়েছেন দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ।
জানা গেছে, ২০২০ সালের বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার সদর থেকে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের একমাত্র সড়কের নোয়াগাঁও নামকস্থানে একটি সেতু ধসে যায়। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়। ৬ মাস মেয়াদি কাজ শেষ হয়নি দুই বছরেও। ধীরগতিতে কাজে মেয়াদ শেষে কাজ হয়েছে মাত্র ৩০ শতাংশ। ২০২২ সালে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হলে আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে। কিছুদিন পরই কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় সেতুর কাজ। দুই পারে দুটি পিলার ছাড়া আর কোনো কাজই হয়নি। এতে দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার লাখো মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে। বর্ষায় নৌকায় চলাচল করা গেলেও শুকনো মৌসুমে দুর্ভোগে পড়তে হয়। জরুরি রোগী নিয়ে বিপাকে পড়ছেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করার দাবি তাদের।
দোয়ারাবাজার উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আবদুল লতিফ বলেন, আমরা এই সেতুর আশা ছাইরা দিছি। আর কবে হইবো এমন চিন্তা আর করি না। যদি তারার দয়া হয় তে আমরারে দুর্ভোগ থাইকা রক্ষা করত।
সিএনজিচালক সোহেল আহমদ বলেন, শুকনো মৌসুমে এই রাস্তা দিয়ে চলা যায়। বৃষ্টি হলে আর উপায় থাকে না। দ্রুত সেতুটির কাজ শেষ করে এলাকার মানুষকে শান্তি দেওয়া হোক।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব সেতুর কাজ শুরু হবে।
"