বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গতকাল বুধবার শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সোনার বাংলার স্বপ্ন ও বাস্তবতা : রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী লিলি ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবিগুরুর ভক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে যেতেন সঙ্গে করে অনেকগুলো বই নিয়ে যেতেন, যার মধ্যে অন্যতম ছিল রবীন্দ্র রচনাবলী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে লিলি ইসলাম বলেন, রবীন্দ্রনাথের ছোট বেলায় তার বাবা তাকে নিয়ে হিমালয় দেখাতে নিয়ে যেতেন, যাতে করে তিনি হিমালয়ের চিন্তা-চেতনায় বিশালত্ব আনতে পারেন। স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন বলেন, রবীন্দ্রনাথ কল্পনায় যে সোনার বাংলা একেঁছিলেন, বঙ্গবন্ধু সেই স্বপ্নকে সত্যিকারের সোনার বাংলা আমাদের উপহার দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের শিশুরা যখন ভাষা শেখে তখন থেকেই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা গান দিয়ে তাদের ভাষা সমৃদ্ধ হয়। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কর্মকর্তা, বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার কর্মকর্তা এবং শিশু ও অভিভাবকরা।

সভাপতির বক্তব্যে লাকী ইনাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিশুতোষ কবিতা, গান, ছোটগল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান কবিতার আলোকে আনজীর লিটনের গ্রন্থনা ও পরিকল্পনা এবং নাজিব মাহফুজ লিমনের নির্দেশনায় নৃত্যনাট্য পরিবেশন করেন শিশু একাডেমির প্রশিক্ষণার্থী শিশু শিল্পীরা।

"