জাতীয় সংসদের অষ্টমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আ স ম ফিরোজ এমপিকে পটুয়াখালীর বাউফলবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি রেখে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।

এমপি আ স ম ফিরোজ ১৯৫৩ সালে পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার কালাইয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ইদ্রিস মিয়া অবিভক্ত বাংলার বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৬৭ সালে বরিশাল একে স্কুল থেকে এসএসসি, বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি ও বিএ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিষযে এমএ পাস করেন। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে ছাত্র মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৬ সালে বরিশাল এ কে স্কুলের সহসাধারণ সম্পাদক ও ১৯৭০-৭৩ সময়ে বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ছিলেন।

আ স ম ফিরোজ ১৯৬৬ সনে ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালের প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বন্যার্তদের মাঝে রেড ক্রিসেন্ট এবং আ.লীগের ত্রাণসামগ্রী নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে থেকে বাউফলসহ দক্ষিণাঞ্চলের চরাঞ্চলে ত্রাণ বিতরণে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে ভারতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রশিক্ষণ শেষ করে ভারত থেকে দেশে আসার পথে খুলনার গাবুয়া এলাকায় পাকবাহিনীর গানবোট দ্ধারা অতর্কিত হামলার শিকার হন এবং তিনিসহ ১৯ জন মুক্তিযোদ্ধা তাদের হাতে আটক হন। দুদিন আটক থাকার পর পালিযে এসে রক্ষা পান। মহান মুক্তিযোদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। ৯নং সেক্টরের চিফ পলিটিক্যাল মটিভেটরের দায়িত্ব পালনও করেন।

তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি বাউফল উপজেলা আ.লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ আ.লীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। তিনি ২য়, ৩য়, ৫ম, ৭ম, ৯ম, ১০ম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদের হুইপ ও ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ হিসেবে নিযুক্ত হন। এ ছাড়াও তিনি সংসদ কমিটি, পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পর থেকে বাউফলবাসী এ আসনটি আ.লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করে আসছে। কিন্তু কোনো মন্ত্রী দেওয়া হয়নি। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে একমাত্র দাবি ৮ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় বাউফলের জনগণ।

"