টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ২৩ মে, ২০২৩

টঙ্গীর ৪৯ ও ৫৬ ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা

নিরসনে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন নেই

বৃষ্টি হলেই গাজীপুরের টঙ্গীর ৪৯ ও ৫৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন অলিগলিতে হাঁটুপানি জমে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন ওয়ার্ডগুলোয় বসবাসরত হাজার হাজার মানুষ। বর্জ্য অপসারণে অব্যবস্থাপনা ও অপরিকল্পিতভাবে নালা নির্মাণের কারণেই বৃষ্টি হলে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রবিবার (২১ মে) রাতে কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে এসব এলাকার অধিকাংশ জায়গা তলিয়ে যায় বৃষ্টির পানিতে। রাতে হঠাৎ বৃষ্টিতে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েন এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।

সরেজমিনে টঙ্গীর ৪৯ ও ৫৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে দেখা যায়, ড্রেনে ময়লা-আবর্জনারস্তূপ। ফলে বৃষ্টির পানি ড্রেন দিয়ে প্রবাহিত হতে না পেরে পানি জমে। পানি নামতেও দীর্ঘ সময় লেগে যায়। এতে ওই এলাকার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ছেন। টঙ্গী ৪৯ ও ৫৬নং ওয়ার্ড এলাকার ভোটাররা অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন এলে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা শুধু উন্নয়ন ও সমস্যা দূর করার কথা বলেন। নির্বাচিত হয়ে যাওয়ার পর তাদের আর খোঁজ রাখার সময় হয় না। পৌরসভা থেকে এ পর্যন্ত জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘ বছরের। এ পর্যন্ত একাধিক মেয়র ও কাউন্সিলর পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি জলাবদ্ধতার সমস্যা। আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে পুনরায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে। অতীতের মতো এবারও প্রতিশ্রুতি শুধু প্রতিশ্রুতি খাতায় থাকবে বলে মনে করছেন তারা।

৫৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। কারখানার শ্রমিক ও স্থানীয় লোকজনকে বাধ্য হয়ে নোংরা পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করে। এছাড়া বাসাবাড়ি ও পয়োনালার পানি সড়কে পড়ায় মানুষের ভোগান্তি আরো বেড়ে যায়।

টঙ্গীর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শামীম হোসেন বলেন, এরশাদনগরের জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ ময়লা-আবর্জনার ড্রেনে ফেলা। ড্রেন নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করা। বৃষ্টি এলে বৃষ্টির পানিতে ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাসাবাড়িতে উঠে পড়ে। এতে বসবাস অনুপোযোগী হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোবারক হোসেন মিলন বলেন, আমি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর প্রথমেই জলাবদ্ধতা নিরসনের প্রতি গুরুত্ব দেব। মাস্টার প্লান অনুযায়ী কয়েকটি সেকশনে ভাগ করে জলাবদ্ধতা দূর করার ব্যবস্থা করা হবে।

৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ওয়ার্ডের সব চাইতে বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। বিগত দিনে পরিকল্পিতভাবে কোনো ব্যবস্থা তৈরি করা হয়নি। এতে বৃষ্টি হলে পানি দ্রুত প্রবাহিত হচ্ছে না। এক ঘণ্টা বৃষ্টি হলে পানি উঠে যাচ্ছে বাসাবাড়িতে। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না আমিও এই সমস্যার ভুক্তভোগী। আমি নির্বাচিত হতে পারলে সিটি করপোরেশনের বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে উন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করে জলাবদ্ধতার সমস্যা মুক্ত করব।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close