জাককানইবি প্রতিনিধি

  ১৯ মার্চ, ২০২৩

রোজায় হলের নিম্নমানের খাবার নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থীরা

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ২৫ রমজান পর্যন্ত খোলা 

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) ২৫ রমজান পর্যন্ত খোলা থাকবে। ওই সময় যারা হলে অবস্থান করবেন তারা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হল ডাইনিংয়ে নিম্নমানের খাবার নিয়ে।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য দুটি ও ছাত্রীদের জন্য দুটি হল রয়েছে। হলের ডাইনিংয়ে খাবার নিম্নমানের হওয়ায় রমজান মাসে হলে অবস্থান করা কষ্টকর হবে বলে মনে করছেন তারা। এ ব্যাপারে তারা এরই মধ্যে হল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। এমনিতেই বেশি দাম ও নিম্নমানের খাবার নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে নিম্নমানের খাবার খেয়ে কোনোমতে দিন কাটিয়ে দিতে পারলেও সারা দিন রোজা রেখে সেটা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বেশির ভাগ শিক্ষার্থী।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে অবস্থানরত রাকিব হাসান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধু হলের খাবারের মান ভালো না, দামও বেশি। এই খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাও অনেক। রোজার মাসে এই মানের খাবার অব্যাহত থাকলে ছাত্রদের কষ্টের সীমা থাকবে না। সাহরির সময় দূরের হোটেলগুলোতে গিয়ে খাওয়াও সম্ভব নয়। আবার বাধ্য হয়ে এসব খাবার খেলে আমাদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় হল প্রশাসনের সহযোগিতা চাওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের খাবার খেয়ে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে পড়বে। এজন্য হল প্রশাসনের প্রতি হলের ডাইনিংগুলোকে বিশেষ নজরদারির আওতায় নিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের দাবি জানাচ্ছি। আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী সানোয়ার রাব্বী প্রমিজ বলেন, পবিত্র রমজান মাসে সচরাচর ছুটি থাকলেও করোনার কারণে সেশনজট কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ক্যাম্পাস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা একে সাধুবাদ জানাই। তবে আমি খুবই চিন্তিত যে, ক্যাম্পাসের খাবারের যে মান, তা খেয়ে রোজা রাখা খুবই কঠিন হয়ে যেতে পারে। রোজায় খাবারের মান বাড়ানোর জন্য হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্যোগ নেবে- এই প্রত্যাশা করি।

এ বিষয়ে হল কাউন্সিল সভাপতি মাসুম হাওলাদার বলেন, হলে খাবারের মান যাতে রমজান মাসে ঠিক থাকে সে বিষয়ে ডাইনিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। দামের বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে যাতে ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা যায় সেটির প্রতি দৃষ্টি থাকবে।

সাধারণত রমজান মাসে দিনের বেলায় ডাইনিং বন্ধ থাকে। এজন্য অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য দিনের বেলায় খাবারের ব্যবস্থা করা হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অন্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য যাতে ক্যাম্পাসেই খাবার পাওয়া যায় সে ব্যবস্থা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close