মাসুম বিল্লাহ, শালিখা (মাগুরা)

  ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

শালিখায় কালের সাক্ষী

মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালী বাজার থেকে তিন কিলোমিটার এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে ছান্দড়া গ্রামের জমিদারবাড়ির। এখনো টিকে আছে কালের সাক্ষী হয়ে বাড়িটির ধ্বংসাবশেষ। মুঘল আমলের প্রথমার্ধে বাড়িটি তৈরি করেন জমিদার অলঙ্গন মোহন দেব রায়।

এই অঞ্চলের মধ্যে ছান্দড়ার জমিদার অত্যন্ত প্রতাপশালী ছিলেন। এ বাড়ি থেকে এলাকার কর খাজনা আদায় ও শাসনকাজ পরিচালনা করা হতো। এসবই আজ ইতিহাস। কালের পরিক্রমায় সবকিছু হয়ে গেছে অতীত। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভেঙে পড়ছে জমিদার বাড়ি, ইট খসে পড়ছে। জানালা-দরজা হয়ে গেছে উধাও। জমিদারের জমিদারি না থাকলেও টিকে আছে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ।

এ ছাড়া টিকে আছে জমিদারবাড়ির শানবাঁধানো পুকুর ঘাট, কালিমন্দির ও শতবর্ষী আমগাছ। জমিদারের ব্যবহৃত হাতিশালা ও পুকুর ভরা ঘ্যাঙ্গর ব্যাঙ কোনো কিছুই নেই।

এ ছাড়া এই জমিদার বাড়ির পাশে ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও জি-বাংলা টেলিভিশনের দাদাগিরি অনুষ্ঠানের উপস্থাপক যাকে কলকাতার রাজপুত্র বলা হয়, সেই সৌরভ গাঙ্গুলির পুর্বপুরুষের বাড়ি ছিল বলে জানা যায়। জমিদার বাড়ির পাশে ছিল গাঙ্গুলিদের বাড়ি। তবে এ নিয়ে রয়েছে অনেক বিতর্ক। অস্তিত্বের কিছু না থাকলেও কালের সাক্ষী হয়ে আছে এই জমিদারবাড়ি ও পাশের সেই বেগবতী নদী।

ছান্দড়া গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি স্বপন মুখার্জির সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, অলঙ্গন মোহন দেব রায় অত্যন্ত প্রভাবশালী জমিদার ছিলেন। এই বাড়ি থেকে এলাকার কর খাজনা আদায় ও শাসনকার্য পরিচালনা করা হতো। কালের সাক্ষী হয়ে এখন শুধু টিকে আছে বাড়ির ধ্বংসাবশেষ। জমিদার বাড়ির পাশেই গাঙ্গুলিয়াদের বাড়ি ছিল। পরবর্তী সময়ে তারা কলকাতায় চলে যায়।

হোক ধ্বংসাবশেষ, তবুও প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসুরা জমিদারবাড়িটি দেখতে আসেন। বাড়িটির অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারলে এটি এলাকার পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে বলে মতপ্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। উপযুক্ত সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়া হলে ঐতিহাসিক নিদর্শনটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।

বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হলে সীমাখালী বাজারে একটি দিকনির্দেশক পিলার বসানো হয়। যে পিলারটি জমিদার বাড়ির অবস্থান প্রদর্শন করে। তবে স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য এখানে ভৌতিক অবকাঠামোগত কোনো কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়নি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close