পাবনা প্রতিনিধি

  ১০ জুলাই, ২০২০

পাবনায় বন্দুকযুদ্ধে নিহতের ঘটনায় স্বজনদের ক্ষোভ

পাবনায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত যুবক তানজিব শেখকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছেন তার পরিবার। তানজিব শেখের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘পুলিশের হাতে আটক ব্যক্তি বন্দুকযুদ্ধ করে কীভাবে?’ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। পাবনা প্রেস ক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে গতকাল দুপুরে ওই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত যুবক তানজিব শেখের বাবা বাবু শেখ জানান, তার ছেলে মেধাবী ছাত্র ছিল।

এডওয়ার্ড কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করে ব্যবসার পাশাপাশি যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জরিত ছিল। আমার গোটা পরিবার আওয়ামী লীগের সমর্থক। আমাদের পরিবারে চারজন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। আমার ছেলে তানজিব এলাকায় মাদক কারবারসহ সব অন্যায়-অত্যাচারের প্রতিবাদ করত। এটাই তার জন্য কাল হলো। তার বিরুদ্ধে এলাকার দুটি মারামারির মামলা ছাড়া অন্য কোনো মামলা ছিল না। পুলিশ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে তানজীবসহ ছয় বন্ধু রাজনৈতিক আলাপের জন্য পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্যের অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় শহরের চাঁদাখার বাঁশতলা থেকে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে স্থানীয় ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারিদের কাছ থেকে পুলিশ টাকা খেয়ে নিরীহ-নিরপরাধ তানজীবকে থানার ভেতরেই নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। পরে স্থানীয় রামচন্দ্রপুর সুইস গেটে বন্দুকযুদ্ধের নাটক করা হয়। তিনি বলেন, নিহত তানজীবের পায়ের রগ কাটা ছিল এবং শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি আরো বলেন, তানজীব তো পুলিশের কাছে আটক ছিল তাহলে বন্দুকযুদ্ধ করল কীভাবে। তারা তানজীবকে হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান এবং সেইসঙ্গে দায়ী পাবনার পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত তানজীবেরে ভাগ্নে ইয়াসির আরাফাত।

সংবাদ সম্মেলনে নিহত তানজীবের তিন বছরের একটি মেয়ে সন্তান কোলে নিয়ে স্ত্রী মেঘনা খাতুন, মা মলিনা খাতুন ও বাবা বাবু শেখসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য গত বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার শিবরামপুর বেড়িবাঁধ বটতলা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে যুবক তানজিব শেখ নিহত হয়। সে শহরের রামচন্দ্রপুর মহল্লার বাবু শেখের ছেলে। পুলিশের দাবি নিহত তানজিবের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে, সে শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close