আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

  ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

সূর্যমুখী চাষে লাভের স্বপ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়ায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কৃষক তামজিদ খান। ১১ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন তিনি। ইতোমধ্যেই গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে। এক একটি ফুল যেন হাসিমুখে সূর্যের আলো ছড়াচ্ছে। চারিদিকে হলুদ ফুল আর সবুজ গাছে সে এক অপরূপ দৃশ্য। প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য পিয়াসু মানুষ সূর্যমুখী ফুলের খেত দেখতে আসছে। অনেকেই ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন।

জানা যায়, আখাউড়া মোগড়া ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রামের জাফর খানের ছেলে তামজিদ খান (৩৫)। তিনি কৃষিকাজ করেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে এ বছর আদমপুর গ্রামে ১১ বিঘা জমি লিজ নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায় বলে কৃষকরা এখন সূর্যমুখী চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ১ কেজি বীজ দিতে হয়। দেড় ফুট অন্তর অন্তর একটি করে বীজ বপন করতে হয়। একটি সারি থেকে আরেকটি সারির দূরত্ব রাখতে হয় দেড় ফুট। মাত্র ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে বীজ বপন থেকে শুরু করে বীজ উৎপাদন করা সম্ভব। প্রতি একর জমিতে সব খরচ বাদ দিয়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। যা অন্য কোনো ফসলের চেয়ে কম পরিশ্রমে ভালো আয়।

কৃষক তামজিদ খান বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে ১১ বিঘা জমি লিজ নিয়ে সূর্যমুখীর চাষ শুরু করি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করি ভালো আয় হবে। প্রতি বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। তিনি আশা করেন প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ মণ ফলন পাওয়া যাবে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে বলে জানান।

আখাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. বিল্লাল খান বলেন, সূর্যমুখী চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ছয় থেকে সাড়ে ছয় মণ সূর্যমুখী ফুলের বীজ পাওয়া যাবে। বিঘা প্রতি কৃষকরা ১০ থেকে ১১ হাজার টাকার বীজ বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি সফল হওয়া যায় আগামীতে সূর্যমুখীর চাষ অনেক বাড়বে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close