প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ মে, ২০১৯

যেসব রোগে আদা এড়িয়ে চলা উচিত

আদার নানা গুণ সম্পর্কে মোটামুটি সবারই জানা। রান্নায় আলাদা স্বাদ আনতে যে, এর কোনো ব্যতিক্রম নেই তা তো সবাই জানি। আবার ঠান্ডা লেগে গলাব্যথা বা কাশি হোক, কিংবা বমিভাব, এক টুকরো আদা খেলেই বেশ উপশম পাওয়া যায়। আবার এই আদা চায়ের মধ্যে মিশিয়ে খেলে তা এক আলাদা মাত্রা এনে দেয়। গলা খুশখুশ করলে এককাপ আদা চা খেলেই মিটতে পারে সমস্যা। তবে এই আদার মধ্যেও এমন অনেক কিছু আছে যা শরীরে বিপরীত প্রতিক্রিয়াও দেখায়। বিশেষ করে রান্নায় অতিরিক্ত আদা ব্যবহার বা শুকনো আদা খাওয়ার নেশা শরীরে ক্ষতি ডেকে আনে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর মতে, আমরা না জেনেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে যথেচ্ছ আদা ব্যবহার করি। অতিরিক্ত যে কোনো জিনিসই খারাপ, আদাও তার ব্যতিক্রমী নয়। বেশকিছু রোগ থাকলেও আদা এড়িয়ে চলা উচিত। তাই খুব বেশি আদা খাওয়ার আগে একটু সচেতন হোন। জানেন কেন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে আদার ব্যবহার?

আদা খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই কারো যদি শরীরের ওজন কম হয়, সে ক্ষেত্রে আদা খুবই কম খাওয়া উচিত। কারণ আদায় ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে, যা শরীরের পিএইচ লেভেল বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হজমের প্রক্রিয়া খুবই ভালো হয়। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় পিএইচ লেভেল বাড়লে ওজন আরো কমতে থাকে। ওজন বাড়াতে চাইলে আদা না খাওয়াই ভালো।

শরীরে রক্ত চলাচল করতে সাহায্য করে আদা। ফলে যাদের ওজন বেশি ও ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের জন্য আদা উপকারী। কিন্তু যাদের হিমোফিলিয়া রয়েছে, তাদের জন্য আদা প্রায় বিষের সমান। তাই আদা কতটা খাবেন, সেটা বুঝে খান। যখন কোনো বিশেষ ধরনের ওষুধ খেতে হয়, তখন এর সঙ্গে আদার কোনো শত্রুতা আছে কিনা তা জেনে নিন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের থেকে। যারা ডায়াবিটিস বা ব্লাড প্রেশারের ওষুধ খান, তাদের জন্য আদা বেশ ক্ষতিকর। কারণ এই দুই অসুখের জন্য যে ওষুধ ব্যবহৃত হয়, তার সঙ্গে আদার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটলে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই সেই বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত আদা খেলে বুকে ব্যথাও হতে পারে। গর্ভাবস্থায় আদা না খাওয়াই ভালো। আদায় বেশ কয়েক ধরনের স্টিম্যুলেট রয়েছে যা শরীরের পেশি মজবুত করে। ফলে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের আদা এড়িয়ে চলাই উচিত। বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close