আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৩ মে, ২০১৯

আইএস শিবিরের দুঃসহ স্মৃতি

ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের হাতে বন্দি থাকার সময় দুঃসহ নির্যাতনের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছেন ইয়াজিদি ধর্মের নারী মারিয়াম। তিনি বলেন, ‘আইএস জঙ্গিরা আমার শরীরে বিস্ফোরক লাগানো একটি আত্মঘাতী পোশাক পরায়। তারপর বলে ট্রিগার চেপে দিতে।’ চার বছর ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের হাতে বন্দি থাকা মারিয়াম এভাবেই বলছিলেন তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা।

২০১৪ সালে ইরাকের ইয়াজিদি গ্রামগুলো থেকে ৬ হাজারের বেশি নারী ও শিশুকে বন্দি করে আইএস জঙ্গিরা; যাদের মধ্যে ছিলেন মারিয়াম ও তার মা। তখন মারিয়ামের বয়স ১২। তিনি জানান, তাকে আটজনের কাছে বিক্রি করা হয়। কিন্তু তাদের মধ্যে তিনজন তাকে ধর্ষণ করত, বাকিরা তাকে দাসী হিসেবে ব্যবহার করত।’ মারিয়ামের বাবা তাকে বন্দিজীবনের কষ্টের কথা ভুলে যেতে বলেন। কিন্তু মারিয়াম তা ভুলতে পারেন না। দুঃসহ স্মৃতি তাকে এখনো তাড়া করে বেড়ায়।

গত ৪০ বছরে ইরাকে তিনটি বড় যুদ্ধ, একটি সামরিক অভ্যুত্থান ছাড়াও ইসলামিক স্টেটের দুটি অভ্যুত্থান এবং জঙ্গিবাদী মিলিশিয়াদের সঙ্গে সরকার সমর্থিত বাহিনীর গৃহযুদ্ধ হয়েছে। এ ছাড়াও ইরাকে প্রায় এক দশক ধরে জঙ্গিদের ওপর চলেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিমান হামলা। চার দশক ধরে এ রকম একের পর এক সহিংস ঘটনার প্রভাব পড়েছে দেশটির মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর। ইরাকে প্রতি ৩ লাখ মানুষের জন্য মনোরোগবিদ বা মানসিক সমস্যার চিকিৎসক রয়েছে একজন। খবর বিবিসির।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close