পাবনা প্রতিনিধি

  ২০ নভেম্বর, ২০১৮

পাবনায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন প্রেমিক পলাতক

পাবনার সাঁথিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চার দিন ধরে অনশন করছেন ঢাকা থেকে আসা সাথী নামের এক প্রেমিকা। তিনি ঢাকা মোহাম্মদপুরের একটি বেসরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।

গত শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সাঁথিয়া পৌরসভাধীন শালঘর গ্রামের জুলমত প্রামাণিকের ছেলে প্রেমিক আল আমিনের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন সাথী (২৩)।

সরেজমিনে সাঁথিয়া পৌরসভাধীন শালঘর গ্রামে প্রেমিক আল আমিনের বাড়িতে গিয়ে সাথীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাথী জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার আলালের মেয়ে। প্রায় তিন বছর আগে আল আমিনের সঙ্গে কলেজছাত্রী সাথীর পরিচয় হয়। তারপর দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে অবাধে মেলামেশা শুরু হয়।

জানা গেছে, ওই কলেজছাত্রীর প্রবাসী একটি ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই মাস পর স্বামী বিদেশ চলে গেলে আল আমিনের কথায় তাকে সাথী তালাক দেন। আল আমিন ওই সময় বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ত, পাশাপাশি বেসরকারি

কোম্পানিতে চাকরি করত। সাথী জানান, আল আমিন রাজশাহী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে চাকরি পাওয়ার পর তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। একপর্যায়ে সাথী বিয়ের জন্য আল আমিনকে চাপ দিলে গত ১৬ নভেম্বর শুক্রবার আল আমিন ঢাকা কাজী অফিসে আসতে বলে তাকে। তিনি সময়মতো এসে কাজী অফিসে অপেক্ষা করেন। কিন্তু আল আমিন না এসে তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখে। এ সময় সাথী উপায় না দেখে ওইদিনই পাবনার সাঁথিয়ায় প্রেমিকের বাড়িতে রওনা দেন। তিনি সাঁথিয়া পৌরসভাধীন শালঘর গ্রামে আল আমিনের বাড়িতে অবস্থান নিয়ে চার দিন ধরে অনশন করে আসছেন।

এদিকে ওই প্রেমিকের পরিবার মেয়েটিকে বাড়ি থেকে বের করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বেদম মারধর করেন প্রেমিকের মা ও স্বজনরা। মেয়েটি এ প্রতিবেদককে জানান, আমি মরে যাব তবু বিয়ে না করে যাব না। খবর পেয়ে জামালপুর থেকে গত রোববার সাথীর বাবা-মা প্রেমিক আল আমিনের বাড়িতে আসেন। গত রোববার খবর পেয়ে ওই গ্রামের সাবেক কাউন্সিলরসহ গ্রামবাসী সাথীর বাবা-মাকে নিয়ে একটি সালিশি বৈঠক বসে। সেখানে লম্পট প্রেমিক না থাকায় বৈঠক মুলতবি করে আল আমিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সাথী জানান, থানা পুলিশ তাকে ডেকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে বলে। আমি বিয়ে ছাড়া জীবন থাকতে সাঁথিয়া ছাড়ব না। এ ব্যাপারে রাজশাহী বাগমারা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আল আমিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। প্রতিবারই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

সাঁথিয়া থানার ওসি এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। এ ব্যাপারে সাবেক কাউন্সিলর আবদুল খালেক লালকে স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য বলেছি। নিরাপত্তার জন্য মেয়েটিকে তার বাবার বাড়িতে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close