নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ নভেম্বর, ২০১৮

তোষাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

দুই বোনের ভালোবাসার দৃশ্য ভাইরাল!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও পরিকল্পিতভাবে গড়তে চাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু আমাদের স্বাধীনতাই দিয়ে যাননি, তিনি আমাদের একটি স্বতন্ত্র দেশ উপহার দিয়ে গেছেন। জাতি হিসেবে আমাদের তিনি মর্যাদা দিয়ে গেছেন। সেই মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে। এই দেশকে আমাদের গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বিজয় সরণিতে নির্মিত তোষাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করে তিনি এ কথা বলেন। এদিকে, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর প্রাঙ্গণে নির্মিত এই জাদুঘর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাবার প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে জড়িয়ে ধরে চুমো খান। দুই বোনের এই ভালোবাসার দৃশ্য ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। এই সুবর্ণজয়ন্তী পালনকালে আমি চাই না দেশে দারিদ্র্য থাকুক। বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্র্যমুক্ত করে ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের বুকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। তাছাড়া আমরা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাও গ্রহণ করেছি। গত ১০ বছরের সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। আমরা জনগণের জীবনযাত্রার মান আরো উন্নত করতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা ২০২১ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার মধ্য স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে চাই। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ।

বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানাসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, কূটনীতিক কোরের সদস্য, বিভিন্ন বাহিনী প্রধানরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম।

৫০ হাজার স্কয়ার ফিট এলাকাজুড়ে পাঁচ তলা অত্যাধুনিক এ রাষ্ট্রীয় তোষাখানা জাদুঘরটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করা হয়। এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এবং সরকারের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন দেশ থেকে পাওয়া সব রাষ্ট্রীয় উপহার সামগ্রী, গুরুত্বপূর্ণ দেশি-বিদেশি সম্মাননাও এখানে সংরক্ষণ করা হবে।

দেশে-বিদেশে পাওয়া সব উপহার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় যথাযথভাবে সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের উপহারগুলো রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এগুলো দেশের সম্মান ও মর্যাদা বহন করে। সুতরাং, এগুলো খুব ভালোভাবে সংরক্ষণ করা উচিত। বিগত বিএনপি-জামায়াত আমলে বিভিন্ন উপহার ও দুর্লভ ছবি নষ্ট হওয়ার কথা উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রীয় উপহারগুলো সংরক্ষণে তোষাখানা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তার নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে তোষাখানা আইন প্রণীত হয় এবং বঙ্গভবনে এটি নির্মাণ করা হয়।

পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় তোষাখানার জন্য আলাদা ভবন নির্মাণের প্রয়োজন অনুভব করেন এবং তার নির্দেশনায় বিজয় সরণির এই তোষাখানা জাদুঘরটি নির্মিত হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close