বাগেরহাট প্রতিনিধি

  ০৪ নভেম্বর, ২০১৮

ভাঙা সেতুতে জীবন-ঝুঁকি

বাগেরহাটের সদর উপজেলার ষাট গম্বুজ ইউনিয়নের পূর্ব সায়েড়া গ্রামের প্রবহমান নদীর ওপর নির্মিত লক্ষ্মীখালী ব্রিজটি দীর্ঘ এক মাস আগে ভেঙে যাওয়ায় চড়ম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে আশপাশের সাত-আটটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। পারাপারের বিকল্প না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রিজের ওপর দিয়ে পারাপার হচ্ছেন তারা। ফলে ছোট-খাট দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা। এরই মধ্যে গত ১৫ দিন আগে ভাঙা ব্রিজ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয় পূর্ব সায়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র তামিম শেখ। ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাতে অনিহা প্রকাশ করছেন অনেক অভিভাবক। তাই দ্রুত লক্ষীখালী নদীর ওপর দিয়ে বিকল্প যাতায়াত ব্যবস্থা নির্মাণ করা দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা ব্রিজটির দুই পাশে রয়েছে পূর্ব সায়েড়া, পশ্চিম সাড়েয়া, চাকশ্রি, দয়লা ও গিলাতলাসহ সাত-আটটি গ্রাম। আর ব্রিজটির দুই পাশে থাকা পূর্ব সায়েড়া ও পশ্চিম সায়েড়া গ্রামে রয়েছে পূর্ব সায়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সায়েড়া মধুদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ধোপাবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাকশ্রি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আল মদিনা গার্ডেন। প্রতিদিনই এ ব্রিজটি দিয়ে যাতায়াত করে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। এ ছাড়া এসব গ্রামের অধিকাংশ মৎস্য চাষের ওপর নির্ভরশীল। আগে তারা এ ব্রিজটি ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী চাকশ্রি বাজার যেত মাছ বেচাকেনার জন্য। এখন প্রায় ৮-১০ কিলোমিটার ঘুরে চাকশ্রি বাজারে যেতে হচ্ছে তাদের।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তানজিল্লুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত স্থানীয়দের যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close