নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৪ আগস্ট, ২০১৮

মন্ত্রী-এমপির স্বাক্ষর জাল করে চাকরির সুপারিশ : গ্রেফতার ৩

মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সচিবদের স্বাক্ষর জালসহ ভুয়া ফোনকল ও এসএমএসের মাধ্যমে তদবিরকারী চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিরিয়াস ক্রাইম অ্যান্ড হোমিসাইডাল স্কোয়াড। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন আবদুল কুদ্দুস মিয়া (৪৫), আবু ইউসুফ (৩৬) ও রুহুল বাসার তালুকদার (৪৫)। তাদের মধ্যে আবদুল কুদ্দুস সরকারি নার্সিং প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী ও বাকিরা সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত।

গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা। তিনি বলেন, গত রোববার দিবাগত রাতে কুমিল্লা ও চাঁদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ চক্রের মূল হোতা আবদুল কুদ্দুস। তিনি বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অফিস সহকারী।

তিনি জানান, ২০১৬ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেবা অধিদফতরের আওতায় স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর উন্নয়ন কর্মসূচিভুক্ত নার্সিং এডুকেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রোগ্রামের অপারেশনাল প্ল্যানের সংস্থান অনুযায়ী একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নার্সিং কর্মকর্তাদের স্পেশালাইজড (স্বল্প মেয়াদি) কোর্সে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হাসপাতাল/স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত নার্সিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে দরখাস্ত করার আহ্বান করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তির আলোকে প্রাপ্ত আবেদন যাচাই-বাছাই করে দেখা যায় যে, ১৭ জন স্টাফ নার্সের আবেদনে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, খাদ্যমন্ত্রী, সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে হোসেন বাদশাহসহ কয়েকজন সচিবের সুপারিশপূর্বক জাল স্বাক্ষর রয়েছে। এ ঘটনায় গত বছরের ১৭ আগস্ট রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় একটি মামলা (নং-১৭) হয়। মামলাটির তদন্তভার সিআইডি গ্রহণ করে। এরপর গত বছরই আনিসুর রহমান নামের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের একজন স্টুয়ার্টকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। তবে মূল হোতা কুদ্দুস। তিনি স্বাক্ষর জাল করে জালিয়াতি করেছেন। তিনি নার্সদের প্রশিক্ষণে বিদেশ পাঠানোর আবেদনপত্রে মন্ত্রী ও সচিবদের স্বাক্ষর জাল করে জমা দিতেন। এ জন্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ২০-৩০ হাজার করে টাকা নিতেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close