নীলফামারী প্রতিনিধি

  ০৯ আগস্ট, ২০১৮

ঈদযাত্রা : এবার মেরামত হচ্ছে রেলের ৭৫ কোচ

ঈদে ঘরমুখে মানুষের যাত্রা নির্বিঘœ করতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে এবার মেরামত হচ্ছে রেলের ৭৫ কোচ। দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় এসব কোচ মেরামতের কাজ চলছে পুরোদমে। গেল বছর ৮৫টি কোচ মেরামত করা হলেও এ বছর জনবল সংকটে কোরবানির ঈদের জন্য ৭৫টি কোচ মেরামত করা হচ্ছে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলবে রেল যাত্রায়, এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারখানার ক্যারেজ শপে (উপ-কারখানা) চলছে ভারী যন্ত্রাংশের মেরামতকাজ। কয়েকটি কোচের সুপার স্ট্রাকচার (অবকাঠামো) মেরামতের কাজ চলছিল। কথা হয় ওই শপের কারিগর আবদুল মান্নানের সঙ্গে।

তিনি জানান, ঈদে ঘরমুখী যাত্রী পরিবহনে রেলওয়ের দায়িত্ব অনেকটা বেড়ে যায়। ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন ও বিশেষ ট্রেন চালুর জন্য কোচের প্রয়োজন দেখা দেয়। এ চাহিদা পূরণ হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা থেকে। এবারও ঈদের জন্য ৭৫টি কোচ দেওয়া হচ্ছে। ক্যারেজ শপের ইনচার্জ ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী দিলশাল করিম আবুহেনা বলেন, কারখানার ২৮টি শপেই লোকবল সংকট চলছে। ফলে অল্পসংখ্যক শ্রমিক-কর্মচারী দিয়ে চালাতে হচ্ছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। আমাদের শ্রমিক-কর্মচারীরা কেউ বসে নেই। দিনের অতিরিক্ত সময় (ওভারটাইম) কাজ চলছে কারখানায়।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ক্যারেজ শপ, বগি শপ, পেইন্ট শপ, হেভি রিপেয়ারিং শপ সবখানে কর্ম ব্যস্ততা শ্রমিক-কর্মচারীদের। এর আগে ঈদুল ফিতরে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় ৮৫টি কোচ মেরামত করা হয়। এর বাইরেও রয়েছে দৈনন্দিন রুটিনমাফিক কাজ। লোকবল সংকটের কারণে কারখানার সবখানে কাজের চাপ বেড়েছে। অবিলম্বে লোকবল নিয়োগের দাবি জানান তিনি।

রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় তিন হাজার ১৭১ জন শ্রমিকের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন মাত্র এক হাজার ১৪১ জন। অল্পসংখ্যক লোক দিয়ে চলছে বেশি কাজ। তবু ঈদের কোচ মেরামতে অনীহা নেই তাদের। মানুষ যাতে নির্বিঘেœ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে পারে তাই উৎসাহ নিয়ে কাজ করছেন তারা।

পেইন্ট শপের ইনচার্জ আরিফুর রহমান বলেন, আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে সে অনুযায়ী, কাজ করছেন সবাই। ঈদের জন্য কোচ মেরামতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছি আমরা।

কারখানা সূত্রমতে, এবার ঈদ যাত্রায় রেলওয়ে কারখানায় ৭৫টি কোচ মেরামত হচ্ছে। এর মধ্যে ব্রডগেজ (বড়) লাইনের ৫৫টি ও মিটার গেজ (ছোট) লাইনের জন্য ২০টি কোচ। আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে মেরামত হওয়া কোচগুলো রেলওয়ের ট্রাফিক বিভাগে হস্তান্তর করা হবে।

এ নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদার সঙ্গে। তিনি কারখানায় লোকবল সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এই মুহূর্তে যাত্রী সেবাই মুখ্য। ফলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কোচগুলো মেরামতের কাজ চলছে। জনবল সংকটে এসব কাজে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close