নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১২ জুন, ২০১৮

ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া বন্ধের দাবি

ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা না গেলে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহনে নিম্নআয়ের লোকজনের যাতায়াত ঠেকানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। গতকাল সোমবার সকালে আসন্ন ঈদযাত্রায় রাজধানীসহ সারা দেশে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় মনিটরিং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবক ও গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য পর্যবেক্ষণ উপকমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এবারের ঈদে সব পথে প্রায় ৫

কোটি যাত্রীর ১৫ কোটি ট্রিপ স্বল্প সময়ে বহনে গণপরিবহন ব্যবস্থা অথবা রাস্তা কোনোটির সক্ষমতা আমাদের নেই। এছাড়াও সারা দেশে ৩ লক্ষাধিক যানবাহন ফিটনেসবিহীন, ১০ লাখ নসিমন-করিমন, ইজিবাইক সড়ক মহাসড়কগুলোতে রয়েছে।

গণপরিবহন সংকটের কারণে ও কম ভাড়ার আশায় নিম্নআয়ের লোকজন ফিটনেসবিহীন এসব যানবাহন, পণ্যবাহী যানবাহন, বাস ট্রেন ও লঞ্চের ছাদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে থাকে।

প্রতি বছরের মতো এবারও বিআরটিএ’র মনিটরিং কমিটি গঠন করা হলেও ঈদযাত্রার যাত্রী সাধারণের বাস ও লঞ্চের টিকিট দ্বিগুণ। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনগুণ দামে কিনতে হচ্ছে।

সারা দেশের সড়ক রেল ও নৌপথের যাত্রীসেবা পরিস্থিতি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা সভায় বিস্তারিত তুলে ধরেন। ফলে ভাঙা সড়ক-মহাসড়ক, দীর্ঘ যানজট, নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, রেল পথের টিকিট কালোবাজারি, সড়ক ও নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আলোচনা করেন সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সমন্বয়ক মো. সামসুদ্দীন চৌধুরী, লায়ন মাহমুদুল হাসান রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক উপকমিটির আহ্বায়ক আজহারুল আলম জিকু, জিয়াউল হক চৌধুরী, মিলাদ উদ্দিন মুন্না, আজিজুল হক চৌধুরী, মহিউদ্দিন আহম্মেদ, মো. শাহিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এক সমীক্ষা তুলে ধরে বলেন, দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩৭ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত, অন্যদিকে নৌপথে ভরা বর্ষা মৌসুমের কারণে বয়া-বাতি-মার্কিং চিহ্ন অনেক পথে মুছে গেছে, এখানে চর ডুবোচর একাকার হয়ে গেছে, এ অবস্থায় নৌপথে অতিরিক্ত যাত্রী বহন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।

অন্যদিকে রেলপথে প্রায় ১০০ কিলোমিটার রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত, ৯৮টি রেলসেতু ক্ষতিগ্রস্ত রয়েছে। এসব পথ ভোগান্তির নতুনমাত্রা যোগ করবে বলে আলোচনায় উঠে আসে। এছাড়াও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটের ফেরি সার্ভিসসহ সার্ভিস রোডগুলো দ্রুত গাড়ি পার্কিংয়ের উদ্যোগ না নিলে এসব পথে যাত্রী সাধারণ অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়বে বলে অভিযোগ করেন। এছাড়াও সড়ক-মহাসড়কে প্রতি ইঞ্চি বেদখল মুক্ত করা, জাতীয় মহাসড়কে এখন থেকে অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নসিমন-করিমন ও মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist