নিজস্ব প্রতিবেদক
‘নদী দখলকারীরা এ যুগের রাজাকার’
নদী দখল ও দূষণকারীদের এ যুগের ‘রাজাকার’ মন্তব্য করে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, সময় এসেছে দখলবাজদের প্রতিহত করার। এজন্য সবাইকে এক হতে হবে। মনে রাখতে হবে, নদী দখলের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি। গতকাল বুধবার নৌ-নিরাপত্তা দিবস ঘোষণার দাবিতে সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান সভায় এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। সভার আয়োজন করে ‘নোঙর’ নামে স্থানীয় এক সংগঠন।
শাজাহান খান বলেন, ১৯৭১ সালে এ দেশের মুক্তিকামী মানুষকে রাজাকাররা হত্যা করেছিল। আজ নব্য রাজাকাররা একইভাবে নদী দখল ও নদীদূষণে লিপ্ত রয়েছে। তিনি নদী দূষণকারীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সাবধান হয়ে যান। আপনাদের জন্য শিগগিরই আইন তৈরি হচ্ছে। যেখানে জেল-জরিমানার বিধান রাখা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের একক প্রচেষ্টায় নৌ-দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। গত তিন বছরে একটিও দুর্ঘটনা ঘটেনি। বিএনপি শাসনামলে নৌ-নিরাপত্তা না থাকায় দুর্ঘটনাও ঘটেছিল বেশি। ওই সময় একজনের (তারেক রহমান) নির্দেশে জাহাজ-কার্গো চলত। এখন আইনের মাধ্যমে চলে, বিভিন্ন সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি বলেন, এখন কোনো জাহাজ তৈরি করতে হলে তার নকশা আগে দেখাতে হয়। পরে যাচাই করে দেখা হয় সেটি টেকসই হবে কি না, তারপর অনুমোদন দেওয়া হয়। দখল হওয়া নদী উদ্ধারে অভিযান নিয়মিত চলছে জানিয়ে নৌমন্ত্রী বলেন, দখল হয়ে যাওয়া নদীর মধ্যে দেড় হাজার কিলোমিটার নদী এরই মধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।
নৌমন্ত্রী বলেন, নদী খননের জন্য প্রথম বঙ্গবন্ধু উদ্যোগ নেন। তিনি সাতটি ড্রেজার মেশিন কেনেন। পরবর্তী সরকারগুলো কোনো ড্রেজার মেশিন কেনেনি। তাদের কোনো উদ্যোগ ছিল না। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে ২৫টি ড্রেজার মেশিন কেনেন। এখন নদী খননের কাজ চলমান রয়েছে।
নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আরিফ হোসেন বলেন, ‘নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে আমরা নৌ-সপ্তাহ পালন করছি। তদারকি করা হচ্ছে, পুরাতন জাহাজের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। নতুন জাহাজ নির্মাণের আগেই নকশা করে অনুমতি নেওয়া হচ্ছে। নতুন নতুন কর্মসূচির কারণেই দুর্ঘটনা কমছে।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক, ক্যাপ্টেন আবদুল্লাহ প্রমুখ।
"