reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ১১ জানুয়ারি, ২০২৪

বেশি ঘুমানো ভালো নাকি খারাপ

ছবি : সংগৃহীত

সুস্থ থাকতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই পর্যাপ্ত ঘুমও প্রয়োজন। ঘুম ভালো না হলে শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন আছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স এবং শারীরিক সক্রিয়তা অনুযায়ী সুস্থ থাকতে নিয়মিত ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। গবেষণা বলছে, কম ঘুম যেমন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর তেমনি বেশি ঘুমও স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়। বরং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ঘুমোলে শারীরিক বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়: গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত ঘুমের কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত একটি গবেষণা বলছে, ঘুম কম হলে অথবা দীর্ঘক্ষণ ঘুমালে টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে তাই ঘুমের স্বাভাবিক চক্র মেনে চলতে হবে।

স্থূলতা: গবেষণা বলছে, কম ঘুম এবং বেশি ঘুম, দুটিই মেদ বাড়ায়। যারা স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশিক্ষণ ঘুমান অর্থাৎ প্রতি রাতে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমালেই ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুমোলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে আরও অনেক রোগ। ঝুঁকি এড়াতে তাই প্রয়োজনের বেশি ঘুমানো ঠিক নয়।

হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে : অতিরিক্ত ঘুমের কারণে হৃদরোগজনিত নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যে নারী প্রতিদিনই দিনের বেলা ঘুমান, তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

বিষন্নতা দেখা দেয় : অতিরিক্ত ঘুম বিষণ্নতার উপসর্গ হতে পারে। বেশি ঘুমানোর ফলে বিষণ্নতার সমস্যাকে আরও খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। কেবল বড়রাই নয়, ছোটরাও এর শিকার হয়। কম ঘুমোনো, বেশি ঘুমোনো কিংবা ঘুমের মধ্যে অস্থিরতা দেখলে সতর্ক হোন।

ক্লান্তি, আলসেমি: রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে শরীরে বা মনে তরতাজা ভাব থাকে। অতিরিক্ত ঘুমিয়ে বেলায় উঠলে শরীরে আলসেমি লাগে, ক্লান্তবোধ হয়, শরীরে ফুরফুরে ভাব থাকে না। কোনও কাজেই তেমন উৎসাহ পাওয়া যায় না।

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ঘুম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close