যশোর প্রতিনিধি

  ০৫ জানুয়ারি, ২০২৪

আচরণবিধি লঙ্ঘন 

যশোরে প্রার্থী-সমর্থকদের লাখো টাকা জরিমানা

ভ্রাম্যমাণ আদালত

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোরে প্রার্থীর সমর্থকদের আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ন্ত্রণে ১৭ দিনে (১৮ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত) ৯১টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এ অভিযানের মাধ্যমে মোট চার লাখ দশ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলার ৬টি আসনে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই আদালত পরিচালনা করা হয়।

প্রার্থীদের ওপর হামলা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, যানজট সৃষ্টি করে শোভাযাত্রা ও ব্যানার ব্যবহারসহ নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এ অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগ আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আচারণবিধি লঙ্ঘনের জরিমানা গুনেছেন।

জানা যায়, যশোরের ৬টি সংসদীয় আসনে ৩২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ৬ ও দলীয় স্বতন্ত্র ৮ এবং জাতীয় পার্টির ৬ প্রার্থী। বাকিরা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থী।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, যশোর-১ (শার্শা)-এ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ দিনে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ৬৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১ জানুয়ারি দুটি অভিযানে ৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

যশোর-২ (ঝিকরগাছা ও চৌগাছা)-এ ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ২৭ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ৩ জানুয়ারি দুটি অভিযানে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

যশোর-৩ (যশোর সদর কিন্তু বসুন্দিয়া ইউনিয়ন ব্যতীত)-এ ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ১৮হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর এবং যশোর সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নসহ)-এ ২০টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ৭৬ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ১ ও ৩ জানুয়ারি দুটি অভিযানে ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

যশোর-৫ (মণিরামপুর)-এ ২৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া ৩ জানুয়ারি দুটি অভিযানে ২১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

যশোর-৬ (কেশবপুর)-এ ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মোট ২৭ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এ বিষয়ে বলেন, ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। এখন পর্যন্ত যা অভিযোগ পেয়েছি তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’

মোহাম্মদ আবরাউল আরো বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। প্রতিটি ভোট উপজেলায় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। যে অপরাধ করছে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

পিডিএস/আরডি

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
যশোর,ভ্রাম্যমাণ আদালত,জরিমানা
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close