আদালত প্রতিবেদক

  ৩০ জুলাই, ২০১৯

ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রতারণা

ইবনে সিনার বিরুদ্ধে মামলা

ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালের (ধানমন্ডি শাখা) চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর হাকিম মো. দিদার হোসেনের আদালতে মঙ্গলবার ঢাকা বারের আইনজীবী মো. রমজান আলী সরকার ওরফে রানা সরদার বাদি হয়ে মামলাটি করেন। আদালত বাদির জবাবন্দি গ্রহণ করে আদেশের জন্য রাখেন।

মামলার আসামিরা হলেন, ইবনে সিনা হাসপাতালের (ধানমন্ডি শাখা) চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা গ্রুপের চেয়ারম্যান, ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কনসালট্যান্ট (হেমাটোলজিস্ট) প্রফেসর কর্নেল (অব.) মো. মনিরুজ্জামান।

এ মামলার অভিযোগে বাদী তার আর্জিতে বলেন, গত ২৫ জুলাই কোর্টের কাজ শেষে চেম্বারে অবস্থানকালীন শরীরে জ্বর অনুভব করলে সহকর্মী অ্যাডভোকেট মো. জাফর আহমেদ সুমনকে নিয়ে জ্বর পরীক্ষা করতে ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে যান। আউটডোরে পরামর্শ করা হলে তারা ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা বিবেচনা করে ডেঙ্গু এনএসআই এজ এবং সিবিসি পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। সে মোতােেবক নির্ধারিত ফি দিয়ে রক্তের নমুনা প্রদান করা হলে তারা পরের দিন রিপোর্ট সংগ্রহ করতে বলেন।

বাদী তার আর্জিতে আরও বলেন, পরের দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে রিপোর্ট সংগ্রহ করে দেখতে পান তার রক্তের প্লাটিলেট লেভেল সাত লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। রিপোর্ট দেখে বাদী আতঙ্কিত ও বিমর্ষ হয়ে পড়লে সহকর্মী জাফর আমাকে সান্ত্বনা দেন এবং অন্য আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একই পরীক্ষা করার প্রস্তাব দেন। বাদী সেদিনই সন্ধ্যা ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্তের প্লাটিলেট লেভেল পরীক্ষার ফি জমা দিয়ে রক্তের নমুনা দেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিপোর্ট দিলে দেখা যায় রক্তের প্লাটিলেট লেভেল দুই লাখ। যা সুস্থ এবং স্বাভাবিক মানুষের শরীরে বিদ্যমান।

বাদি মামলার আর্জিতে আরো উল্লেখ করেন, একজন সুস্থ মানুষের রক্তের প্লাটিলেট লেভেল দেড় থেকে সাড়ে চার লাখ। কিন্তু তাদের রিপোর্টে রক্তের প্লাটিলেট লেভেল সাত লাখ ৮৪ হাজার দেখায়। যা কোনো সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে হতে পারে না। এ হাসপাতাল আমার সরলতা এবং অসুস্থতাকে পুঁজি করে শারীরিক, মানসিক, আর্থিক এবং সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

বাদী মো. রমজান আলী সরকার আর্জিতে আরো বলেন, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টার ও প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ভুল রিপোর্ট প্রদান করে বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৬৯/২৭০/৪০৬ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। সে কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করছি। বাদীর পক্ষে আদালতে উপস্তিত ১৫/২০ জন আইনজীবি শুনানি করেন।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ডেঙ্গু পরীক্ষা,ইবনে সিনা,মামলা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close